বিএসএফের মদতে ত্রিপুরাকে কোরিডোর করছে মাদক-মাফিয়া, সীমান্তে নামকাওয়াস্তে অভিযান চালিয়ে বিএসএফ উদ্ধার করল প্রায় ১০.৭ লাখ টাকার অবৈধপণ্য

With BSF’s alleged backing, drug mafias are turning Tripura into a corridor; BSF’s token operation at the border leads to the seizure of illegal goods worth around ₹10.7 lakh.
With BSF’s alleged backing, drug mafias are turning Tripura into a corridor; BSF’s token operation at the border leads to the seizure of illegal goods worth around ₹10.7 lakh.

নিজস্ব সংবাদদাতা | গোপাল সিং | ত্রিপুরা

ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরা দেশের মানচিত্রে সদ্য নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে শুরু করেছে। রাজ্যটির তিন দিক দিয়েই বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেরা। পর্যটন ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। কিন্তু ধীরে ধীরে মাদক ও বেআইনী চোরাকারবারের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়ে পড়ছে স্বপ্নের নতুন ত্রিপুরা। জনগণের অভিযোগ, সীমান্তে চোখ খুলে ঘুমিয়ে থাকে বিএসএফ। সামনে দিয়েই কোটি কোটি টাকার মাদক ও বেআইনি মালামাল পাচার বাণিজ্যের রমরমা রপ্তানি চলছে বলে অভিযোগ জনসাধারণের। কিন্তু এসবে পাত্তা দিতে নারাজ প্রশাসন। কারণ বিএসএফ সারা বছর শুধু খুশি থাকে মশা ধরতে, আর হাতি সামনে দিয়ে চলে গেলেও — বিএসএফের নজর সেদিকে যায়না। এভাবেই ক্ষোভের সাথে জনগণ বিএসএফের ভুমিকা নিয়ে বরাবর প্রশ্ন তুললেও, প্রশাসন আছে শাসনের বাইরেই।
এদিকে জনগণের আইওয়াশ করতে বিএসএফ সারা বছরই ধরপাকর জারি রাখে। যেমন ৮ ও ৯ অক্টোবর, বিএসএফের ত্রিপুরা শাখার অভিযানে গত দুই রাতের মধ্যে অবৈধ পণ্য ও অবৈধ পশু পাচারের চক্র ধরেছে। সীমান্তবর্তী বিওপি রাঙ্গোটি (ঊণকোটি জেলার ইরাণি থানার অধীনে) থেকে এক রাতে ৮.৫ লাখ টাকার বিদেশী প্যাট্রন সিগারেট, প্রসাধনী সামগ্রী ও অন্যান্য অবৈধপণ্য আটক করে। একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ১৭টি গরু উদ্ধার করা হয় ও বেশ কিছু অনুপ্রবেশ চেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে বলে বিএসএফ দাবি করেছে।

সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তবর্তী বিওপি রাঙ্গোটি পুলিশ কর্মী সহ বিএসএফ রাতভর নজরদারি চালায়। সিমেন্টবোঝাই ট্রাকে অবৈধ প্যাকেজ লুকিয়ে আনা হয়েছিল, যা তল্লাশিকালে ধরা পড়ে। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর বাজারমূল্য আনুমানিক ৮.৫ লাখ টাকা।
এছাড়া, রাজ্যজুড়ে অভিযান চালিয়ে ট্রান্স-বর্ডার পাচার প্রতিরোধেও সফল হয় বিএসএফ।

ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্ত প্রায় ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। এমন একটি বিস্তৃত সীমান্ত উত্তেজনা ও অপরাধ প্রবণতার জন্য সব সময় মানিয়ে চলা বড় চ্যালেঞ্জ। বিএসএফের ADG মহেশ কুমার আগরওয়াল সম্প্রতি ৪ দিনের সফরে Tripura গিয়ে সীমান্ত উত্তোলন, টহলদারি ও সমন্বয় কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছেন। তবে প্রকৃত “সাফল্য” তবেই বলা যাবে, যদি সেই কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহতভাবে পুনরাবৃত্তি ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়— যেখানে অভিযান শুধু সংবাদ নয়, নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার ভিত্তি গড়বে।