নিজস্ব সংবাদদাতা | গোপাল সিং | ত্রিপুরা
ত্রিপুরার খোয়াই সীমান্ত এলাকা ফের উত্তপ্ত। বুধবার গভীর রাতে চাম্পাহাওড় থানার অধীনে বিদ্যাবিল এডিসি ভিলেজে বাংলাদেশী গরু চোরদের হামলায় প্রাণ হারান এক নিরীহ গ্রামবাসী, গুরুতর আহত আরও এক। পাল্টা প্রতিরোধে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা তিন বাংলাদেশী চোরকে ধরে গণপিটুনি দেয়, ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
নিহত গ্রামবাসীর নাম মিঠুন তেলেঙ্গা, আহত ধীরেন্দ্র তেলেঙ্গা বর্তমানে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে আসা চোরেরা গরু চুরির চেষ্টা করার সময় ধরা পড়ে গেলে গ্রামবাসীদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসীরা।
এদিকে সীমান্তের ওপার, বাংলাদেশের চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা জঙ্গল থেকে একই রাতে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় নতুন প্রশ্ন উঠেছে — বিদ্যাবিলে আসলে তিনজন না চারজন চোর নিহত হয়েছেন?
বাংলাদেশের স্থানীয় সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মৃতদেহের ছবির ভিত্তিতে এমন অনুমান করছে সীমান্তবাসী।
আজ সকালে তিন বাংলাদেশী নাগরিকের মৃতদেহ বিএসএফের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাকে ঘিরে সীমান্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গাফিলতি এবং তথাকথিত ‘ম্যানেজমেন্ট’-এর কারণে অনুপ্রবেশ ক্রমশ বাড়ছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, “একদিকে বিএসএফকে ম্যানেজ করে বাংলাদেশী চোরেরা ঢুকে পড়ছে, অন্যদিকে আমরা নিজেদের ঘরেই নিরাপত্তাহীন। সরকার ও প্রশাসন যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, আরও রক্ত ঝরবে সীমান্তে।”
প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে, তবে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ স্পষ্ট— “সীমান্ত সুরক্ষা এখন প্রশ্নের মুখে।”