টানা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকছে তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহ চলছে রোজই। তবে এপ্রিলের এই গরম শুধু বাংলাতেই নয়, দেশের অন্যত্রও অস্বস্তি বাড়িয়েছে। পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চলছে তাপপ্রবাহ। এমনকি, যে সমস্ত জায়গায় কখনও এমন গরম পড়তে দেখা যায় না, সেখানেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। কোথাও কোথাও ৪০-এর গণ্ডিও অতিক্রম করে ফেলেছে পারদ।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে, আগামী পাঁচ দিন পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে গরমের পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং তাপপ্রবাহ চলবে। কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমঘাট সংলগ্ন মহারাষ্ট্র, বেঙ্গালুরুতে সাধারণত এই ধরনের গরম পড়ে না। সমুদ্রের ধারে সারা বছরই মনোরম নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। সেখানেও এ বছরের এপ্রিলে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। গরমে মৃত্যুর খবরও মিলেছে বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে।
কেরলের আলপ্পুঝা মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। তামিলনাড়ুর উটি, মহারাষ্ট্রের মাথেরানের মতো এলাকায় খুব গরমেও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ওঠে না। চলতি এপ্রিলে আলপ্পুঝায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মাথেরানে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পারদ উঠেছিল, যা ওই এলাকায় সর্বোচ্চ।
লক্ষদ্বীপের আমিনিদিভিতে এখনও পর্যন্ত এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বিরল। অন্ধ্রপ্রদেশের আরোগ্যভরমে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৪১ ডিগ্রির গণ্ডিও। ওই এলাকায় এত গরম আগে পড়েনি।
এ ছাড়া, ওড়িশার কটক, তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী, পশ্চিমবঙ্গের ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবারে এপ্রিলের তাপমাত্রা ছিল ৪১ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা আগামী পাঁচ দিনে আরও বাড়তে পারে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ মে-র আগে স্বস্তি মিলবে না। মে মাসে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। সেই সঙ্গে পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের কোথাও কোথাও বৃষ্টির দেখাও মিলতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি আবহবিদেরা।