পুরী না যেতে পারলে বাড়িতেই মহাপ্রসাদের এই দুই ভোগের স্বাদ উপভোগ করুন।
রবিবার রথযাত্রা। বিশেষ এই দিনটিতে অনেক বাড়িতেই নিরামিষ খাওয়ার চল। জগন্নাথের ভোগে মূলত দুই ধরনের খাবার দেওয়া হয়। একদিকে থাকে ভাত, ডাল, তরিতরকারি, খিচুড়ি জাতীয় রান্না করা খাবার। আর থাকে খাজা, গজা, খই, মুড়কি জাতীয় শুকনো খাবার। রথে জগন্নাথ দেবের প্রিয় ভোগ রাঁধতে চাইলে, ঝটপট জেনে নিন। ৫৬ ভোগের মহাপ্রসাদের অন্যতম কর্মাবাঈয়ের খিচুড়ি এবং কনিকা।
Konika-Pulao
উপকরণ
৫০০গ্রাম বাসমতী চাল, ১০ গ্রাম কাজু বাদাম, ১০ গ্রাম কিসমিস, ১০-১২ টি গোটা গরম মশলা – লবঙ্গ-৪ টি, ছোট এলাচ-৪ টি, দারচিনি-৪ টি, ২টি বড় এলাচ, ১ টি ১ ইঞ্চি টুকরো জয়িত্রি, ১/২ টুকরো মাঝারি জায়ফল, ২টো তেজপাতা, ১/২ চা চামচ কেশর, ১/২ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, ১ চা চামচ গরম মশলাগুঁড়ো, ৪ টেবিল চামচ দুধ, ১০০ গ্ৰাম চিনি, ৬ টেবিল চামচ ঘি, স্বাদ অনুযায়ী নুন।
প্রণালী
বাসমতি চাল ধুয়ে ভালো করে জল ঝড়িয়ে তারপর হলুদগুঁড়ো মাখিয়ে রাখতে হবে ১ ঘন্টা। জয়িত্রি ও জায়ফল একসঙ্গে একটু শুকনো খোলায় ভেজে নিয়ে তারপর গুঁড়িয়ে নিতে হবে। কেশর দুধে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার ৫ টেবিল চামচ ঘি গরম করে কাজু বাদাম ও কিশমিশ ভেজে তুলে নিয়ে ওই ঘিয়ের মধ্যেই তেজপাতা, গোটা গরম মশলা ও গোটা বড় এলাচ দিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখা চালটা দিয়ে মিনিট পাঁচেক ভাজুন। তারপর পরিমানমতো জল, চিনি ও নুন দিয়ে ঢাকা দিয়ে কম-মাঝারি আঁচে রাখতে হবে। স্বাদের জন্য জলের পরিমাণ কমিয়ে দুধও ব্যবহার করতে পারেন। চাল সেদ্ধ হয়ে জল শুকিয়ে গেলে দুধে ভেজানো কেশর, জয়িত্রি জায়ফলগুঁড়ো ও গরম মশলাগুঁড়ো দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ২-৩ মিনিট ঢিমে আঁচে রেখে তারপর বাকি ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
Karmabai-Khichri
উপকরণ
গোবিন্দভোগ চাল- ১ কাপ, গোটা মুগডাল- ১ কাপ, জল- ৬ কাপ, ঘি- ৩ টেবিল চামচ, কাঁচকলা- ১টি, কুমড়ো- ১ কাপ (ডুমো করে কাটা), বরবটি- ১ কাপ, নারকেল কোরা- ১ কাপ, দারচিনি, লবঙ্গ এবং ছোট এলাচ- ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা- ২টি, শুকনো লঙ্কা- ২টি, গোলমরিচ- ১ টেবিল চামচ, গোটা জিরে- ১ চা চামচ, আদা- ১ চা চামচ, কাঁচা লঙ্কা- ২-৩টি, সন্ধব লবণ- স্বাদ অনুযায়ী, হলুদ গুঁড়ো- আধ চা চামচ, গুড়- ১ কাপ, কাজুবাদাম- ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী
প্রথমে চাল এবং ডাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। সব সবজি ধুয়ে ডুমো করে কেটে রাখুন। এ বার কড়াইতে ঘি গরম করুন। এর মধ্যে কাজু এবং কিশমিশ ভেজে তুলে রাখুন। ওই ঘিয়ের মধ্যেই ফোড়ন হিসেবে দিয়ে দিন গোলমরিচ, শুকনো লঙ্কা, জিরে গুঁড়ো এবং গোটা গরম মশলা। এর মধ্যে ভিজিয়ে রাখা চাল এবং ডাল দিয়ে দিন। বেশ খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করে কেটে রাখা সবজিগুলি দিয়ে দিন। আরও একটু নাড়াচাড়া করে নুন, হলুদ দিয়ে দিন। এবার পরিমাণমতো জল দিয়ে সেদ্ধ করতে দিন। মাঝেমধ্যে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। সব সবজি সেদ্ধ হয়ে এলে নারকেল কোরা দিয়ে নেড়ে নিয়ে উপর থেকে ঘি ছড়িয়ে নামান। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিত্যভোগের অন্যতম সেরা পদ কর্মাবাঈয়ের খিচুড়ি।