Cyclone Remal: রেমালের গতির কারণে আজও সকাল থেকে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে গাছ পড়ছে কোথাও, কোথাও ভাঙছে টিনের ছাদ, মাটির দেওয়াল। ল্য়ান্ডফলের পর রেমালের নিজস্ব গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় মাত্র ১১ কিমি। আজ সকালে রেমালের গতিবেগ ১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। অথচ আমপানের ল্যান্ডফলের পর নিজস্ব গতিবেগ ছিল ২৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা। পরে যা হয় ৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
রেমালের পূর্বাভাস শুনে প্রথম থেকেই তুলনা চলছিল আমপানের সঙ্গে। আমপান যেমন ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, রেমাল কি তাকে টক্কর দেবে, উঠছিল প্রশ্ন। ঝড়ের গতিতে আমপানকে রেমাল টক্কর দিতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু তার ধীর গতিই বাংলার জন্য কাল হচ্ছে! আমপানের সন্ধ্যায় তাণ্ডব চললেও, পরদিন সকাল থেকে আকাশ কিন্তু মেঘমুক্তই ছিল। এখানেই আমপানের সঙ্গে রেমালের তফাত। রেমাল ধীর গতিতে এগোচ্ছে।
তাই রবিবার রাতের পর সোমবার সে সামান্য কিছু শক্তি কমিয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড় থেকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। উপকূল থেকে এখনও বেশি ভিতরে ঢোকেনি। যত স্থলভাগের ভিতরে ঢুকবে তত জলীয় বাষ্পের জোগান কমবে। কারণ, বঙ্গোপসাগরের জল থেকে নেওয়া জলীয় বাষ্পেই যে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের এত দমক হয়। তাই এক দফা শক্তি কমেছে রেমালের। তীব্র ঘূর্ণিঝড় ছিল প্রবেশের সময়, এখন তা সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়েছে মাত্র। গতি বেশি থাকলে তা অতি গভীর নিম্নচাপের রূপ নিত। আমপান অনেক তাড়াতাড়ি কোস্ট থেকে ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। ফলে এক রাতের তোলপাড় সেরে ফিরেছিল।
রেমালের ধীরগতির কারণে আজও সকাল থেকে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে গাছ পড়ছে কোথাও, কোথাও ভাঙছে টিনের ছাদ, মাটির দেওয়াল। ল্য়ান্ডফলের পর রেমালের নিজস্ব গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় মাত্র ১১ কিমি। আজ সকালে রেমালের গতিবেগ ১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। অথচ আমপানের ল্যান্ডফলের পর নিজস্ব গতিবেগ ছিল ২৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা। পরে যা হয় ৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। সাগর থেকে দূরে না সরায় এখনও ‘ঘূর্ণিঝড়’ রেমাল। ল্যান্ডফলের পর সামান্যই শক্তিক্ষয় রেমালের। তাই বুধবার পর্যন্ত বাংলায় ভারী, অতি ভারী বৃষ্টি চলবে।