জেডি(এস) নেতা এইচডি কুমারস্বামী মঙ্গলবার দাবি করেছেন যে গত মাসে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটক জুড়ে তাঁর ভাইপো প্রজ্বল রেভান্নার রেকর্ড করা যৌন উত্তেজক ভিডিও সহ ২৫ হাজার পেনড্রাইভ বিতরণ করা হয়েছিল।
এইচডি কুমারস্বামী কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে ভিডিও প্রচারের ‘ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ করেছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।
কর্ণাটকের হাসান আসনে সাংসদ ও জেডিএস প্রার্থী প্রজ্বল রেভান্না। তাঁর ও তাঁর বাবা বিধায়ক এইচ ডি রেভান্নার বিরুদ্ধে রাঁধুনির শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের পৃথক মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ায় যৌন হেনস্থার অভিযোগে একটি অপহরণ মামলায় গ্রেফতার করা হয় রেভান্নার বাবাকে।
কর্ণাটক সরকার প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে।
ডি কে শিবকুমারের জড়িত থাকার অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে এইচডি কুমারস্বামী বলেন, বিশেষ তদন্তকারী দল নয়, সিদ্ধারামাইয়া তদন্তকারী দল এবং শিবকুমার তদন্তকারী দল।
কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ডিকে শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশের নির্বাচনী এলাকা বেঙ্গালুরু রুরালে প্রথম এই পেন ড্রাইভ চালানো হয়।
তিনি দাবি করেন, তার দলের পোলিং এজেন্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২১ এপ্রিল রাত ৮টা নাগাদ পূর্ণচন্দ্রের কাছে মেসেজ আসে, যাতে বলা হয়, ‘প্রজ্বল রেভান্নার নোংরা ভিডিও দেখতে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল ফলো করতে’। এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে একটি বার্তা ছিল, ‘প্রজ্বলের ভিডিও মুক্তির কাউন্টডাউন।
তাঁর দাবি, ওই ব্যক্তি তাঁর অভিযোগে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
এইচডি কুমারস্বামী বলেন, মহিলাদের ‘শালীনতা বন্ধক রাখার’ জন্য এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘এখানে আমার প্রশ্ন, কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে থানায় ডেকে আনা হয়। অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না?