কিছুক্ষণের মধ্যেই কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার যোগ্য জবাব দেবে ভারত। সেনা সর্বাধিনায়ক, তিন সেনাপ্রধানদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরই হুঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। জানালেন, কেউ রেহাই পাবে না। শুধু হামলাকারীদের বিরুদ্ধেই নয়, নেপথ্যে থাকা মাস্টার মাইন্ডদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তবে কি আজই পাকভূমে জঙ্গিঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাবে সেনা? রাজনাথের গর্জনের পর সেই জল্পনাই এখন তুঙ্গে। মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। ভূস্বর্গের পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন পর্যটককে খুন করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। পহেলগাঁও হামলায় পাক মদতের বিষয়টি জোরালো হতেই বাতাসে যুদ্ধের গন্ধ! বুধবার সেনা সর্বাধিনায়ক এবং তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরীহ পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠক শেষে প্রেস বিবৃতি দেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি। শুধু হামলাকারী নয়, যারা নেপথ্যে বসে ভারতের মাটিতে এই নৃশংসা হামলার ষড়যন্ত্র করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্য়বস্থা।” তাঁর আরও সংযোজন, “ভারতবাসীকে আমি এই বলে আশ্বস্ত করব যে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। আততায়ীরা কিছুক্ষণের মধ্যে খুব জোরাল ও স্পষ্ট জবাব পাবে।” উল্লেখ্য, আজ রাত ছ’টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। সাধারণত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই ধরনের বৈঠক হয়। পহেলগাঁও হামলার পর এই বৈঠক ডাকায় বাতাসে যুদ্ধের গন্ধ আরও জোরাল হচ্ছে।
কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আগাম হুঙ্কার দিয়ে যুদ্ধ বা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের হুঁশিয়ারি দিয়ে কি আক্রমণ করা যায়? যদিও বা বড় পদক্ষেপ হয়, তাহলে কতটা ফলপ্রসূ হবে সেই পদক্ষেপ?