৫০০ ছুঁয়ে ফেলল দিল্লির বায়ুদূষণের সূচক। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ রাজধানীর একাধিক এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা ৫০০ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবও নির্দেশিকা জারি করেছেন, ভয়ংকর বায়ুদূষণের আবহে প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই যেন ক্যাম্পাসের পরিবর্তে অনলাইন পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করে।
ইতিমধ্যেই বায়ুদূষণকে ‘মেডিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসাবে ঘোষণা করেছে দিল্লির সরকার। গতকাল দিল্লির বায়ুদূষণ চলতি মরশুমের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ৪৮১ (AQI)। মঙ্গলবার আরও বাড়ল দূষণের পরিমাণ। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাজধানীর দূষণের মাত্রা উঠেছে ৪৯৪ (AQI) পর্যন্ত। এছাড়াও দিল্লির একাধিক এলাকায় দূষণের মাত্রা ৫০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। সেই তালিকায় রয়েছে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, মুনকা, নর্থ ক্যাম্পাস, ওয়াজিরপুরের মতো জায়গাগুলো।
এহেন পরিস্থিতিতে সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব নির্দেশিকা জারি করেন। সেখানে বলা হয়, প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে অনলাইন ক্লাস শুরু করা উচিত দূষণের আবহে। তবে দিল্লি সরকার তার আগেই স্কুলগুলোতে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহের জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ক্যাম্পাসের বদলে অনলাইন ক্লাস হবে।
রাজধানী গ্যাস চেম্বার হয়ে ওঠার নেপথ্যে অবশ্য কেন্দ্রকেই দুষেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। তাঁর কথায়, “কেন্দ্র এখন কী করছে? প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? দিল্লি, পাঞ্জাবের মানুষকে নিয়ে তাঁদের কোনও চিন্তা নেই? এই দূষণ থামাতে প্রধানমন্ত্রী একটাও বৈঠক ডেকেছেন? জরুরি পদক্ষেপ করেছেন?” আপ নেত্রীর দাবি, গত কয়েক বছরে বায়ুদূষণ রুখতে কেন্দ্র সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি।