At Modi's residence, a preparatory meeting attended by Doval and Rajnath.
At Modi's residence, a preparatory meeting attended by Doval and Rajnath.

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির পর প্রথম ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিকিওরিটি অফিসার (DGMO)পর্যায়ের বৈঠক। সোমবার দুপুরে এই বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু হল। বৈঠকে বসলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান, তিন বাহিনীর প্রধান। ডিজিএমও-র বৈঠকে কী কী প্রসঙ্গ তুলবে ভারত, তা নিয়েই মূলত আলোচনা চলে বলে খবর। দুপুর ১২টা থেকে হটলাইনে এই বৈঠক হবে। তা শেষের পর আড়াইটে নাগাদ সেনাবাহিনীর তরফে সাংবাদিক বৈঠক হবে। তাতে বক্তব্য রাখবেন ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই।

সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ ৭, লোককল্যাণ মার্গ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একে একে প্রবেশ করেন অজিত ডোভা, রাজনাথ সিং। শুরু হয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। সূত্রের খবর, রবিবার সীমান্ত এলাকায় শান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিশদে জানান সেনাপ্রধানরা। এই মুহূর্তের পরিস্থিতি সম্পর্কেও অবগত করেন। এদিন পাকিস্তানের ডিজিএমও কাসিফ আবদুল্লার কাছে কোন কোন বিষয় দাবি রাখবে ভারত, তা নিয়ে আলোচনা হয়। ১০ মে, শনিবার সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার কয়েকঘণ্টা পরই যে পাকিস্তান তা ভেঙে সীমান্তে হামলা চালিয়েছে পাক সেনা, সেই প্রসঙ্গ তোলা হতে পারে।

এছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পাক মুলুকে ‘বন্দি’ বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউকে ছাড়ার দাবি তুলতে পারেন ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই। পহেলগাঁও বিস্ফোরণের পরেরদিন থেকে সীমান্তে টহলদারি চালাতে গিয়ে ‘ভুল করে’ ওপারে ঢুকে পাক সেনার হাতে ‘বন্দি’ হয়েছেন বাংলার এই জওয়ান। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর খোঁজ নেই। এবার দু’দেশের সংঘর্ষবিরতির পর বিএসএফ জওয়ানকে ফেরানো নিয়ে বারবার কেন্দ্রের উপর চাপ দিচ্ছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। জওয়ানের স্ত্রীকে ফোন করে স্বামীকে ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে লাগাতার বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজকের বৈঠকে পূর্ণম সাউকে ফেরানোর দাবি তুলতে পারে ভারত।