Money

ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী আলমগির আলমের আপ্ত সহায়কের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। এই আবহে মন্ত্রীর সচিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জীব লাল। আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে এই তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই ময় এই বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার হয়।  

২০২৩ সালে ঝাড়খণ্ডে এই আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত মামলা শুরু হয়েছিল। গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বীরেন্দ্র কে রাম। তাঁকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত শুরু করে ইডি। তাঁকে জেরা করেই এই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  

জানা গিয়েছে, বীরেন্দ্র রামে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল, তার ওপর ভিত্তি করেই ইডি তল্লাশি অভিযান চালায়। এই আবহে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি বাড়িতে পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এই অভিযানে উদ্ধার হওয়া টাকা সেই পরিমাণকে ছুঁতে পারে কি না, তা নিয়ে অনেকেরই মনে কৌতুহল জেগেছে। 

নানা রকম প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে এই মামলায়। এই আবহে মন্ত্রীর সচিবের নাম জড়ায়। এদিকে তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, সঞ্জীব নাকি রাজ্যের অনেক মন্ত্রীর সঙ্গেই আর্থিক লেনদেন করেছিলেন। এই আবহে এই দুর্নীতিতে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। সঞ্জীবের বাড়ি থেকে এই আবহে উদ্ধার হয়েছে একটি পেনড্রাইভ।  

এদিকে বিজেপির অভিযোগ, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নির্বাচনে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। এই নগদ টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ড বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল সহদেব বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে দুর্নীতি শেষই হচ্ছে না। এই বিপুল পরিমাণ টাকা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচনে টাকা ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। নির্বাচন কমিশনের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।’