ভারত হঁশিয়ারি সত্ত্বেও টনক নড়ছে না পাকিস্তানের। টানা আটদিন নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে গুলিবর্ষণ করল পাক সেনা। বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে ভারতের একাধিক সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পালটা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্তরেখার নিকটবর্তী কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নৌশেরা, আখনুরের সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা। সঙ্গে সঙ্গে পালটা গুলি চালিয়ে ভারতীয় সেনাও জবাব দিয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে সীমান্তরেখার উরি এবং আখনুর সেক্টরে ফের ছোট বন্দুক থেকে গুলিবর্ষণ করে পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত সীমান্তবর্তী নৌসেরা, সুন্দেরবানি, আখনুর সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাতে থাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সোমবার রাতেও কাশ্মীরের কুপওয়ারা ও বারামুলা সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তান। তার আগে হামলা চলে পুঞ্চে। বস্তুত পহেলগাঁও হামলার পর টানা আটদিন সীমান্তে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা। লাগাতার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে মঙ্গলবারই পাক সেনাকে সতর্ক করে ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার দুপুরে হটলাইনে কথা হয়েছে দুই দেশের সেনা আধিকারিকদের মধ্যে। সেখানেই ইসলামাবাদকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়ে যেন সতর্ক হয় তারা। কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের অসংযত আচরণ থামছে না। ভারত হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও টানা দু’দিন সীমান্তে গুলি চালাল পাক সেনা। পাকিস্তানের তরফে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় ওয়াকিবহল মহল মনে করছে, উপত্যকায় সেনার তৎপরতা শুরু হওয়ার পর জঙ্গিদের নিরাপদে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিতেই এই কৌশল নিয়েছে পাক সেনা। সীমান্তে ভারতীয় সেনাকে গোলাগুলিতে ব্যস্ত রাখা যাতে সেনার সামান্য অসতর্কতায় জঙ্গিরা বর্ডার পেরিয়ে অধিকৃত কাশ্মীরে ফিরে যেতে পারে। আবার অন্য মহলের দাবি, এগুলি স্পেকুলেটিভ ফায়ারিংয়ের ঘটনা। অর্থাৎ ভারতীয় সেনার নজর অন্যদিকে ঘোরানোর জন্যই সামান্য গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভারতে জঙ্গিদের প্রবেশের সুযোগ করে দিতেই এই পদক্ষেপ পাক সেনার?

Despite India's warnings, there is no change; Pakistani forces continue firing at the border for eight consecutive days.