ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা, পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের সম্ভাবনা যত বাড়ছে, দিল্লিতে ততই বাড়ছে তৎপরতা। শনিবারও সকাল থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়ে গেল নয়াদিল্লিতে। সেনার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আলাদা করে কথা বললেন সেনা সর্বাধিনায়কের সঙ্গে।
এদিন দুপুরে প্রথমে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান দেখা করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জানান তিনি। এরপর খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শীর্ষ নিরাপত্তা আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন সেনার প্রধান, সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা।
বস্তুত, এই মুহূর্ত ভারত ও পাকিস্তান কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে। সরকারিভাবে যুদ্ধ ঘোষণা না হলেও লাগাতার নির্লজ্জের মতো ভারতের ধর্মস্থান, স্কুল, কলেজ এবং নিরীহ নাগরিকদের টার্গেট করছে পাকিস্তান। শুক্রবার রাতেও সীমান্তে লাগাতার উসকানি দিয়েছে শেহবাজ শরিফের সেনা। আকাশপথে অস্ত্রবাহী ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, এমনকি, যুদ্ধবিমানে নিয়ে ২৬ এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। শুধুমাত্র সেনাছাউনি বা বিমানঘাঁটি নয়, নিশানা করা হয়েছে স্কুল, হাসপাতালের মতো অসামরিক নির্মাণকেও। যার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। শুধু যে পাক হামলা রুখে দেওয়া হয়েছে তাই নয়, প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষাও দিয়েছে ভারত।
তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় সেনার তরফে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানিয়েছেন, আরও অশান্তির ছক কষছে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা। তাদের জবাব দিতে তৈরি হয়েছে ভারতীয় বাহিনীও। অর্থাৎ দুদেশের মধ্যে যে কোনও পরিস্থিতিতে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। সম্ভবত সেকারণেই রণকৌশল তৈরি করার এবং প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী।