"India and Pakistan should have dinner together," says Trump.
"India and Pakistan should have dinner together," says Trump.

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, তাঁর উদ্যোগেই থেমে গিয়েছে ভারত-পাক যুদ্ধ। দাবি করেছেন, বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে দুই দেশের পরমাণু যুদ্ধ থামিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এহেন কৃতিত্ব আদায় নিয়ে বিতর্ক যখন চরমে উঠেছে ঠিক সেই সময় ফের মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার ট্রাম্পের পরামর্শ, ‘একে অপরের বিরুদ্ধে পরমাণু মিসাইল ব্যবহারের পরিবর্তে ভারত ও পাকিস্তানের উচিত একসঙ্গে ডিনার করা।’

বর্তমানে সৌদি সফরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন, টেসলা প্রধান এলন মাস্ক ও মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও’র উপস্থিতিতে ফের একবার ‘সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ’ থামিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজের জয়গান গেয়ে ট্রাম্প বলেন, “এই যুদ্ধ থামাতে আমাদের উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স ও বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। আমার মনে হয় তারা(ভারত-পাকিস্তান) শত্রুতা ছেড়ে কাছাকাছি আসছে।” এরপর মার্কো রুবিওকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই দু’জনকে একসঙ্গে কোনও ভালো জায়গায় সুন্দর ডিনারে পাঠালে বিষয়টা ভালো হয়। আপনি কী বলেন?”

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, “শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করাই আমার প্রধান উদ্দেশ্য। আমি একেবারেই যুদ্ধ পছন্দ করি না। আমার প্রশাসন কয়েকদিন আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা হিংসা থামিয়ে ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি সম্পন্ন করেছি। এই যুদ্ধ থামাতে বাণিজ্যকে হাতিয়ার করা হয়েছে। আমি বলেছিলাম, চলুন আমরা একসঙ্গে বাণিজ্য করি। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের বিনময় নয়, দুই দেশের উৎপাদিত পণ্যের বাণিজ্য।” তাঁর আরও বক্তব্য, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই অত্যন্ত শক্তিশালী এবং এখানে বুদ্ধিমান নেতৃত্ব রয়েছেন। যাইহোক আপাতত সবকিছু থেমে গিয়েছে। আশা করি বিষয়টি এভাবেই থাকবে।”

যদিও বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়ে দুই দেশের সংঘর্ষ বিরতির যে দাবি ট্রাম্প করেছেন তা পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে ভারত। গতকাল এই ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রকের সচিব রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “৭ মে, অপারেশন সিঁদুরের শুরু থেকে ১০ মে, সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা পর্যন্ত আমেরিকা এবং ভারতের নেতৃত্বের মধ্যে লাগাতার কথা হয়েছে। তৎকালীন উদ্ভুত সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বারবার। কিন্তু কোনও আলোচনায় ব্যবসার কথা উঠে আসেনি।” একইসঙ্গে বলেন, “কাশ্মীর নিয়ে এখনও একই অবস্থান ভারতের। কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। এ বিষয়ে তৃতীয় কোনও শক্তির মধ্যস্থতা সহ্য করবে না নয়াদিল্লি। পাকিস্তানের সঙ্গে একমাত্র একটি ইস্যুতেই কথা হতে পারে-পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরানো। অন্য কোনও বিষয়ে নয়।”