Election Commission Undertakes Voter List Revision After 22 Years
Election Commission Undertakes Voter List Revision After 22 Years

জাপানকে টপকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে উঠে এসেছে ভারত। দাবি করলেন নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যমের। তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে ভারতের অর্থনীতির মোট মূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পেরিয়ে গিয়েছে। বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় জাপানকে টপক ভারত এখন চতুর্থ স্থানে। একমাত্র আমেরিকা, চিন এবং জার্মানিই ভারতের চেয়ে এগিয়ে।

২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত। বছর দুই আগে স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেসময় অনেকেই মোদির সেই দাবি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সরকারের দাবি, সব সংশয় মিটিয়ে দ্রুতগতিতেই এগোচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক শেষে সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বললেন, “আমরা যখন কথা বলছি, তখন ভারত চার ট্রিলিয়নের অর্থনীতি হয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। আমরা এই গতিটা ধরে রাখতে পারলে আগামী ২.৫-৩ বছরে আমরা তৃতীয় স্থানে উঠে আসতে পারব। এই মুহূর্তে শুধু আমেরিকা, চিন আর জার্মানি আমাদের আগে।”

প্রাথমিকভাবে মোদি সরকার টার্গেট করেছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরা। ব্যাঙ্কিং বিনিয়োগ সংস্থা জেফ্রিসের অর্থনীতি মূল্যায়নের রিপোর্ট বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে ভারত। তবে সেই লক্ষ্য পূরণ না হলেও মোটামুটিভাবে ২০২৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতকে তৃতীয় করার লক্ষ্য রাখছে কেন্দ্র। সেটা করতে পারলে ২৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির যা জন্য বড়সড় অ্যাডভান্টেজ হতে পারে।

বস্তুত, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অন্যতম অভিযোগই হল অর্থনীতির দিকে নজর না দেওয়া। বারবার বেকারকত্ব, আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধী শিবির। এবার অর্থনীতির সার্বিক বৃদ্ধি দেখিয়ে সেই সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার হাতিয়ার পেয়ে গেল কেন্দ্র। যদিও এই সার্বিক বৃদ্ধির অর্থ এমন নয় যে, দেশের আমজনতার জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হচ্ছে।