India's ambassador J.P. Singh made it clear in no uncertain terms that there will be no mercy for terrorists.
India's ambassador J.P. Singh made it clear in no uncertain terms that there will be no mercy for terrorists.

থমথমে সীমান্ত। নিয়ন্ত্রণ রেখায় তৈরি কামান। আকাশে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তৈরি ‘আকাশতির’। পড়শি দেশ উসকানি দিলেই ‘নিউ নর্মালে’ গর্জে উঠবে ভারতীয় ফৌজের কামান। এই প্রেক্ষাপটেই ভারতের বড় বার্তা, এখনও শেষ হয়নি অপারেশন সিঁদুর। তিন কুখ্যাত জঙ্গিকে হস্তান্তর করতে হবে পাকিস্তানকে।

সোমবার ইজরায়েলে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত জে পি সিং স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন, ভারত বদলা নেবে। সন্ত্রাসবাদীদের ক্ষমা নেই। রেয়াত করা হবে না জঙ্গিদের মদতদাতাদেরও। তিনি সাফ জানান, অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদ, জাকিউর রহমান লখভি এবং মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সাজিদ মিরের মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীদের ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে।

এক ইজরায়েলি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিং বলেন, “পহেলগাঁওয়ে ধর্ম দেখে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে খুন করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। তারপরই ভারত জেহাদি ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালায়। আমাদের নিশানা পাকিস্তান ছিল না। কিন্তু তারা পালটা হামলা চালিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে যে ইসলামাবাদই জঙ্গিদের পালন করে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াই চলবে।”

উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলাস্বরূপ গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালায় ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর। হামলা চলে সওয়া নাল্লা, সারজাল, মুরিদকে, কোটলি, কোটলি গুলপার, মেহমোন্না জোয়া, ভিমবের এবং ভাওয়ালপুরের জঙ্গি ঘাঁটিতে। এই অভিযানে শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, রাতারাতি অনাথ হয়ে যায় জইশ-প্রধান মাসুদ আজহার। ভারতের প্রত্যাঘাতে পরিবারের ১২ সদস্যকে হারায় মাসুদ। প্রসঙ্গত, সংসদ হামলার মূলচক্রী মাসুদকে কান্দাহারের ঘটনায় মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত। এবার লস্কর প্রধান হাফিজ-সহ মোট তিন জনকে ফেরত চাইল ভারত।