লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি-সহ চার রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড়ে ‘জোট’ বেঁধেই লড়বে আপ এবং কংগ্রেস। শনিবার তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও হয়ে গেল। ৭টি লোকসভা আসন বিশিষ্ট দিল্লিতে আসন সমঝোতা কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে। শনিবার সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আপ এবং কংগ্রেস জানিয়ে দিল, তারা দিল্লিতে চার-তিন সমীকরণে লড়বে। শুধু দিল্লি নয়, গুজরাত, হরিয়ানা, গোয়া এবং চণ্ডীগড়ে কী সমীকরণে আসন সমঝোতা হচ্ছে তা-ও জানিয়ে দিল অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং রাহুল গান্ধীর দল।
ইন্ডিয়া জোটে যখন আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল, তখন কেজরীবালের দল একটি মাত্র আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি হয়েছিল। সেই প্রস্তাব মানতে নারাজ হয়, ফলে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন রাজ্য়ে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনা শুরু করেছে কংগ্রেস।
দিল্লিতে কংগ্রেস নেতৃত্ব কেজরীওয়ালের দলকে চারটি আসন ছাড়ল। সেই চারটি আসন হল নয়াদিল্লি, দক্ষিণ দিল্লি, পূর্ব দিল্লি এবং পশ্চিম দিল্লি। বাকি তিন আসন অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব দিল্লি, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি এবং চাঁদনি চকে লড়বে হাত শিবির। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাত আসনের মধ্যে পাঁচ আসনেই দ্বিতীয় স্থানে ছিল কংগ্রেস। আর দুই আসনে বিজেপির পরেই ছিল কেজরীওয়ালের দল। সাতটি লোকসভাই জিতেছিল বিজেপি।
জানুয়ারিতে কংগ্রেস এবং আপ নেতৃত্ব আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করলেও জট কাটেনি। সূত্রের খবর ছিল আপের তরফে দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে একটি বা দু’টি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস অন্তত তিনটিতে লড়ার দাবিতে অনড় থাকায় আলোচনা ভেস্তে যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশ আশঙ্কা করেছিল, পঞ্জাবের মতো দিল্লিতেও দুই দল ‘একা’ লড়ার সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।