এপ্রিল মাসের শেষেই নতুন সভাপতি পাবে বিজেপি। সূত্রের দাবি, জেপি নাড্ডার উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই মন্ত্রীর নাম সম্ভবত মনোহরলাল খাট্টার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ খাট্টারই এই মুহূর্তে বিজেপি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। একটা সময় বিজেপি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে শিবরাজ সিং চৌহান, সি আর পাতিল, ভুপেন্দ্র যাদবদের নাম শোনা গিয়েছিল। পরে তাঁরা প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। বিজেপিতে অঘোষিত নীতি বলে, দলের সংগঠনে বড় পদের কেউ মন্ত্রিসভায় থাকেন না। সেই সূত্র মেনে সভাপতি পদ ছাড়তে হয়েছিল অমিত শাহকেও। পরে নির্মলা সীতারমণের নামও শোনা গিয়েছিল। আবার এও শোনা যাচ্ছে, এবার দলিত কাউকে সভাপতি পদে বাছবে বিজেপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্ভবত খাট্টারকেই সভাপতি করতে চলেছেন মোদি-শাহ। কারণ খাট্টার একটা সময় সংঘের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আবার, প্রধানমন্ত্রীরও বিশেষ বিশ্বস্ত। সেটাই তাঁকে এগিয়ে রাখছে। কিন্তু খাট্টারের নাম কবে ঘোষণা হবে? সব ঠিক থাকলে সভাপতি নির্বাচনের কাজটা চলতি মাসেই সেরে ফেলতে চাইছে। গত মঙ্গলবার রাতে প্রায় তিন ঘন্টা জেপি নাডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং। এরপরই বুধবার অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ দীর্ঘ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। পরে জেপি নাড্ডার সঙ্গে ফের আলাদাভাবে বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। সেই গুচ্ছ বৈঠকেই বিজেপি সভাপতির নাম ঘোষণা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, দিন দশেকের মধ্যেই নাম ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব নাড্ডা। প্রথমে ছিলেন কার্যকরী সভাপতি। পরে ২০২০ সালের জুন মাসে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকেই সভাপতি বাছাই করা হয়। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগেই তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দফায় দফায় সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারায়। মার্চের মধ্যেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। সদ্যই অর্ধেকের বেশি রাজ্যের রাজ্যসভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবার শুধু সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ঘোষণা বাকি।

ML Khattar Emerges as Front-Runner for BJP President's Post