পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরে ভারত কবে প্রত্যাঘাত করবে, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খেয়েছে দেশজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকশেষে মোদির বাসভবনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রানুসারে, মোদি বৈঠকে সেনার উপরে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন। এবং সেই সঙ্গে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রত্যাঘাতের। প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবারই পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহ পূরণ হয়েছে। অথচ এখনও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা যায়নি। এদিকে এই হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের জরুরি বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সোমবারও এই একই ধরনের বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। তবে আজই সেনাকে প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন বলে সূত্রের দাবি।যার পরে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি প্রত্যাঘাত স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? এদিকে হামলাকারীদের খোঁজে বর্তমানে কাশ্মীরের চারটি জায়গায় একযোগে চলছে অভিযান। মঙ্গলবারই এমনটা জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। এদিন সকাল থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার ইয়ারওয়ান জঙ্গলে নতুন করে অভিযানে নেমেছে ভারতীয় জওয়ানরা। এর আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের অন্য দুটি এলাকায় হামলাকারীদের খোঁজে শুরু হয়েছিল সেনা অভিযান। সেই দু’টিও এখনও শেষ হয়নি। তাই সব মিলিয়ে কাশ্মীরের বুকে এখন মোট চারটি অভিযান চলছে।উল্লেখ্য, কাশ্মীরজুড়ে আরও বড়সড় হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এরপরই কাশ্মীরের ৮৭টি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টিই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাশ্মীর সরকার।

Modi gives the Army 'full freedom' — is a retaliation coming soon?