পহেলগাঁও কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ১৩ দিন। কিন্তু এখনও অধরা জঙ্গিরা। দেশজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ। এদিকে দিল্লিতে একের পর এক বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পরিস্থিতিতে এখন একটাই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে, পহেলগাঁও হামলার বদলা কবে? রবিবার সকালে বায়ুসেনা প্রধান অমলপ্রীত সিং এবং বায়ুসেনার অন্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই সোমবার বেলায় প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন মোদি। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের। তবে বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, সেনার প্রস্তুতি এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে তাঁদের। এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। পাক সীমান্তে দেখা গিয়েছে বায়ু সেনার মহড়া। অন্যদিকে, জব্বলপুরের খামারিয়ার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মীদের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই অস্ত্র কারখানার যেসব কর্মী আগে থেকে ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদেরও জরুরি ভিত্তিতে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী দিনেও কোনও কর্মীকে ছুটি দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্র তৈরির কাজটা শুরু করে দিল ভারতীয় সেনা? উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর এখনও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা যায়নি। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরন ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন। তার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। বাকি দু’জন কাশ্মীরের বাসিন্দা। চারজনের স্কেচও প্রকাশ হয়েছে। এদের পথপ্রদর্শক হিসাবে আদিল কঠোর নামের এক জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এর বাইরে আর কারা যুক্ত সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসবের মধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে কার্যত যুদ্ধের মেজাজে ভারত।

Nationwide anger is rising, Modi to meet with the Defence Secretary in Delhi — is a retaliation imminent?