টুজির পর কমনওয়েলথ গেমস। ইউপিএ জমানার আরও এক তথাকথিত দুর্নীতিতে কংগ্রেসকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে দিল ইডি। প্রায় দেড় দশক ধরে তদন্ত করেও কমনওয়েলথ গেমসে মূল অভিযুক্ত সুরেশ কালমাড়ির বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির কোনও প্রমাণ দিতে পারল না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার দিল্লির এক আদালতে কমনওয়েলথ গেমস কেলেঙ্কারির ‘ক্লোজার রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে ইডি। ওই রিপোর্টে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, দীর্ঘ তদন্তের পরও কমনওয়েলথ মামলায় কোনও আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি। ইডির সেই ক্লোজার রিপোর্ট গ্রহণ করেছে আদালত। এই মামলায় সিবিআই ২০১৪ সালেই ক্লোজার রিপোর্ট দিয়েছে। সিবিআইও কমনওয়েলথ গেমসে কোনও দুর্নীতি পায়নি। সিবিআইয়ের পর ইডি ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেওয়ায় এই মামলায় তদন্ত পুরোপুরি বন্ধ। এর আগে ৩ বার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনওরকম দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারল না। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের তথাকথিত এই কেলেঙ্কারি গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। জাতীয় রাজনীতিতে কার্যত আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতি। নিন্দুকেরা বলেন, ২০১৩ সালে দিল্লিকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ২০১৪ সালে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসার নেপথ্যেও অনেকাংশে এই কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতিকে দায়ী করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ১৫ বছর পর দেখা যাচ্ছে সেসময় কোনওরকম দুর্নীতির প্রমাণই নেই। ইডি ক্লোজার রিপোর্ট পেশ করার পরই বিজেপি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এক সারিতে বসিয়ে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। দলের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ বলছেন, “সব অভিযোগ যে মিথ্যা সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। নরেন্দ্র মোদি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ক্ষমা চাইতেই হবে। ওরা গোটা দেশকে বিভ্রান্ত করেছে। সত্যমেব জয়তে।”

No corruption took place! ED closes investigation into Commonwealth Games case; Congress slams BJP after relief