এনডিএ প্রার্থী ওম বিড়লার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী ছিলেন কে সুরেশ। বুধবার ১১টা নাগাদ শুরু হয় ভোটাভুটি। দেখা যায় ধ্বনিভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন ওমই। এই নিয়ে পর পর দুবার তিনি স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন, যা নজির।
লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লাই (Om Birla)। ধ্বনিভোটে কে সুরেশকে পিছনে ফেলে প্রথমবারের জন্য পর পর দুবার স্পিকার পদে তাঁকেই বেছে নেওয়া হল। তাঁকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে মঙ্গলবার দিনভর লোকসভার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার সকালে এই বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত কংগ্রেসকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা যায় ঘাসফুল শিবিরের সূত্রানুসারে। অবশেষে এদিন লোকসভা চত্বরে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ”গতকাল বৈঠক হয়েছিল ইন্ডিয়া জোটের। সেখানে যা আলোচনা হয়েছিল, সেই আলোচনার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই ইন্ডিয়া জোটের স্পিকার পদপ্রার্থী কে সুরেশকে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন জানাবে।”
বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী নব নির্বাচিত স্পিকারকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমি বিশ্বাস করি আপনি আমাদের কথা বলতে দেবেন। কক্ষ কতটা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে সেটা প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হল ভারতের কণ্ঠস্বর শোনা যাবে কিনা। সুতরাং কক্ষকে দক্ষতার সঙ্গে চালাতে গিয়ে বিরোধী কণ্ঠ রোধ করা একটা অগণতান্ত্রিক আইডিয়া। এবং এবারের নির্বাচন স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারতের মানুষ প্রত্যাশা করে সংবিধানকে রক্ষা করবে বিরোধীরা।”
এদিকে প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল চিরকূটের মাধ্যমে ভোটাভুটি করা হবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত ধ্বনিভোটেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়। সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার রাহুলের সঙ্গে কথা বলার সময় নাকি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন ধ্বনিভোট করার। তাঁর মতে যদি ভোটাভুটি হয় সেক্ষেত্রে সংখ্যা কম থাকায় হারতেই হবে এনডিএকে। ফলে সেই ফলাফলের রেকর্ড লিখিত থাকলে তা ইন্ডিয়া জোটের জন্যই অস্বস্তিজনক হবে। বরং ধ্বনিভোটে যাওয়াই ভালো। তাঁর ওই প্রস্তাবই শেষপর্যন্ত গৃহীত হয় বলে দাবি।