The Prime Minister saluted the army, armed forces, agencies, and the country's scientists.
The Prime Minister saluted the army, armed forces, agencies, and the country's scientists.

ভারতীয় সেনার পরাক্রমকে দেশের মেয়েদের উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপরেশন সিঁদুরের প্রয়োজনীয়তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুরুতেই স্যালুট জানান ভারতের সেনা, সশস্ত্র বাহিনী, একাধিক এজেন্সি এবং দেশের বিজ্ঞানীদের। বলেন, “আমাদের দেশের মা-বোনেদের মাথার সিঁদুর মুছলে কতখনি দাম দিতে হয়, আজ তা বুঝে গিয়েছে গোটা বিশ্বের উগ্রপন্থীরা। জঙ্গিরা স্বপ্নেও ভাবেনি ভারত এত বড় পদক্ষেপ করবে।” শত্রুপক্ষের উদ্দেশে মোদির বার্তা—ভারতের অভিযান বন্ধ হয়নি, স্থগিত হয়েছে।

ভাষণের শুরুতেই পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বীভৎসতার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ওরা ধর্ম জেনে স্ত্রী, সন্তানের সামনে মানুষগুলোকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার পরে গোটা দেশে একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর তুলেছে। যখন দেশ একজোট হয়, তখন তার ফল মেলে।” মোদি দাবি করেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদকে গুঁড়িয়ে দিয়ে জঙ্গিদের মনোবলও গুঁড়িয়ে দেওয়া গিয়েছে। তিনি জানান, ভারতের হামলায় সন্ত্রাসবাদের ‘হেড কোয়ার্টার’ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শ্লাঘার সঙ্গে জানান, দেশের সব রাজনৈতিক দল, সমস্ত আদর্শের মানুষ, ভারতের সকল নাগরিক একজোট হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা নিয়েছে। সেনার কৃতিত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, ভারতের স্কুল-কলেজ, সাধারণ নাগরিকের বাড়িঘর, মন্দির-গুরুদ্বারকে নিশানা করেছিল পাকিস্তান। যদিও ভারতীয় সেনা তা প্রতিহত করে। গোটা বিশ্ব এই কৃতিত্ব দেখেছে। মোদি বলেন, “খারাপ ভাবে হেরে যাওয়ার পরে ১০ মে পাকিস্তানি সেনা আমাদের ডিজিএমও-র দ্বারস্থ হন।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্টেট স্পনসর্ড টেররিজ়ম’-এর বড় উদাহরণ পহেলগাঁও কাণ্ড। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হাতিয়ার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক। কোনও ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ ভারত সহ্য করবে না। আর সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি সহ্য করবে না ভারত। পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয় ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে। ‘টেরর’ ও ‘টক’ (সন্ত্রাস এবং আলোচনা) একসঙ্গে চলতে পারে না। সেনা এবং বিদেশ সচিবের মতোই মোদির বার্তা, পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে এ বার পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই কথা হবে।