খুব দ্রুতও যদি হয়, এ মাসের মাঝামাঝির আগে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সম্ভাবনা কম। যার কারণ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন রাজ্য সফরের কথাই উঠছে। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর চলবে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত। সূত্রের মতে, তার পরেই ভোট ঘোষণা হতে চলেছে। সে ক্ষেত্রে দেশে নববর্ষের পরে ভোট শুরু হতে পারে।
পাঁচ বছর আগে ১০ মার্চ দেশে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল। তার ঠিক এক মাস পরে ১১ এপ্রিল ভোট শুরু হয়। এ যাত্রা পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে ১৩ মার্চ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীর সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস কর্মসূচি রয়েছে। অন্তত ছয় থেকে আট পর্বে নির্বাচন করতে চাওয়া কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফর শেষ হলেই ভোট ঘোষণা করে দেওয়ার পক্ষপাতী তারা।
আজ রাতেই পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন মোদী। আগামিকাল বারাসতে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। পরের দিন অর্থাৎ ৭ মার্চ শ্রীনগরে যাবেন তিনি। উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে এই প্রথম বার মোদীর শ্রীনগর যাওয়া। এ ছাড়া সম্প্রতি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সমাজমাধ্যমে যারা ‘রিল’ বানাতে পারদর্শী, তাদের জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি প্রতিযোগিতার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদী। ওই দিন প্রতিযোগিতার বিজেতাদের নামও ঘোষণা হতে পারে। অনুষ্ঠানের শেষে সে দিন সন্ধ্যায় অসমে উড়ে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
এর পর আগামী শনিবার তথা ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর অরুণাচলে সেলা সুড়ঙ্গের উদ্বোধন করার কথা আছে। সেখান থেকে অসমের যোরহাটে ফিরে এসে লছিত বরফুকনের একটি মূর্তি উদ্বোধন করবেন তিনি। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে একাধিক জনমুখী প্রকল্পের শিলান্যাস করে জনসভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রবিবার প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন সমাজবাদী পার্টির গড় আজমগড়ে। সেখানেও কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করার কর্মসূচি রয়েছে। ১১ মার্চ দিল্লিতে ড্রোন দিদি ও লাখপতি দিদি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। বিকেলের দিকে হরিয়ানা অংশের দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন ছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরের দু’দিনও রাজ্য সফরের জন্য রয়েছে। মার্চের ১২ তারিখ মোদী গুজরাতের একাধিক স্থানে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
যা শেষ হলে রাজস্থানের জয়সলমেরের পোখরান সফরে যাওয়ার কথা তাঁর। ১৩ মার্চ কর্মসূচির শেষ পর্বে গুজরাতে থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সূত্রের মতে, গুজরাত ও অসমে যে তিনটি সেমিকন্ডাক্টর চিপ তৈরির কারখানা গড়ার কথা রয়েছে, ওই দিন সেই তিনটি কারখানার শিলান্যাস করার কথা তাঁর। অনেকেই মনে করছেন, যদি ১৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর শেষ সরকারি অনুষ্ঠান সংক্রান্ত ঘোষণা হয়ে থাকে, তা হলে সে দিনই সন্ধ্যায় কিংবা ১৪ বা ১৫ মার্চ ভোট ঘোষণা করতে পারে কমিশন। ভোট প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্বের কাজে ব্যস্ত এমনিতে নেমেই পড়েছে কমিশন। আজই পশ্চিমবঙ্গে সরকারের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কমিশন কর্তারা। পশ্চিমবঙ্গে বৈঠকের পরে অসমে যান। সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁদের। আগামী ১২-১৩ তারিখ জম্মু-কাশ্মীর সফর রয়েছে কমিশনের। তত দিনে সরকারি শিলান্যাসও শেষ হয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রীর। সূত্রের মতে তাই, উপত্যকা সফরের পরেই দেশে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা করে দিতে পারবে কমিশনও