লোকসভা নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই। দেশের আনাচে-কানাচে, প্রতি কোণে, চায়ের দোকান থেকে বাসের ভিড়ে এখন কেবল একটাই জল্পনা- পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কে নির্বাচিত হতে চলেছেন। জনগণের এই মতামত নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ, তাঁরাই গণতন্ত্রের সক্রিয় স্তম্ভ। সেই মতামত শুধু যাতে আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ না থাকে, তা যাতে সুস্পষ্ট এক মত এবং মতাদর্শের রূপ পায়, সেই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিল নিউজ ১৮। আয়োজন করেছিল এক পোলের। লোকসভা নির্বাচনের আগে সংঘটিত এই পোল যেন নির্বাচনী ফলাফলেরই সারাৎসার।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, নিউজ ১৮ দ্বারা আয়োজিত এই পোলে জনমত সংগ্রহ করার কাজ চলেছে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে ১ মার্চ ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত। এই জনমত সংগ্রহের কাজ চলেছে দেশের ২১টি মুখ্য রাজ্যের ৫১২টি লোকসভাকে ঘিরে। যখন জানতে চাওয়া হয়েছে পরবর্তী সর্বাধিক উপযুক্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাকে দেখতে পছন্দ করবেন ভারতীয় নাগরিক, উঠে এসেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরই নাম। বিপুলসংখ্যক জনতার এই রায় এবং একমত হওয়ার জায়গাটি নিঃসন্দেহে তাদের আবেগের সরাসরি বহির্প্রকাশ।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ তাঁদের রায়ে পরবর্তী সর্বাধিক উপযুক্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এগিয়ে রেখেছেন নরেন্দ্র মোদিকেই, তাঁর নামই বেছে নিয়েছেন। এর ঠিক পরেই ভারতীয় জনতা পার্টি সুপ্রিমোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে উঠে এসেছে জাতীয় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধির নাম। তবে জনমত রাহুল গান্ধির পক্ষে ততটাও প্রবল নয়, মাত্র ২১ শতাংশ রাহুল গান্ধিকে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চেয়েছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যৌথভাবে জনমতে দেশের পরবর্তী সর্বাধিক উপযুক্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেয়েছেন মাত্র ২ শতাংশ সমর্থন।
দেশের লোকসভার ৯৫ শতাংশ জুড়ে চলা এই সমীক্ষা যাতে সঠিক হয়, সে জন্য সমীক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল, ফিল্ড ওয়ার্কের আগে ব্রিফিং সেশন এবং প্রশ্নপত্রও দেওয়া হয়েছিল যাতে কারও ভাবাবেগে আঘাত না হেনে শুধুমাত্র সত্যটিই তাঁরা উন্মোচন করতে পারেন।