হরিয়ানার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপি নেতা নায়েব সিং সাইনি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এমন ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কেন বদলাল পদ্ম শিবির? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, শীর্ষপদের এই পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে জোড়া বার্তা।
কী এই জোড়া বার্তা? প্রথমত, দুশ্যন্ত চৌতালাকে উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব তথা ক্যাবিনেট থেকেই সরাতে চেয়েছিল বিজেপি । কিন্তু সরাসরি তাঁকে সরানো হলে ভুল বার্তা যেতে পারত জাঠদের কাছে। তাই এভাবে ‘ঘুরিয়ে’ পদক্ষেপ করা হল। দ্বিতীয়ত, খাট্টারের মতো জাঠ নেতা সরে যাওয়ার পরে এক অ-জাঠ নেতাকে এই পদে অভিষিক্ত করার মধ্যে দিয়ে বার্তা দেওয়া হল বিজেপি অ-জাঠদের সমর্থনেও রয়েছে। প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় ২০ শতাংশ বাসিন্দা জাঠ। বাকিরা অন্য সম্প্রদায়ের।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে জেজেপি ও বিজেপির মধ্যে আসনরফা নিয়েই ঝামেলা। ১০ লোকসভা আসনের মধ্যে ৩টি আসনের দাবি জানিয়েছিল জেজেপি। কিন্তু বিজেপি একটার বেশি (মতান্তরে একটিও নয়) আসন তাদের ছাড়তে নারাজ। আর সেখান থেকেই শুরু মতপার্থক্য। আর এই সংঘাতে মঙ্গলবার সকালে ইস্তফা দেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার । মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার পরেই গোটা মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেছে। বুধবার বিকেল পাঁচটায় শপথ নেন নায়েব সিং সাইনি।