ফের বাড়তে পারে মোবাইল রিচার্জের (Mobile Recharge) খরচের বোঝা। চলতি বছরেই দাম বাড়াতে পারে টেলিকম কোম্পানিগুলি (Telecom Company)। নতুন রিপোর্ট সামনে আসেতেই চিন্তা বাড়ছে গ্রাহকদের মনে।
বেসরকারি কোম্পানিগুলি দাম বাড়াবে ?
বর্তমানে ভারতের প্রায় অধিকাংশ মানুষই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। গত বছর বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি রিচার্জ প্ল্যানের দাম বাড়াতেই শুরু হয়েছিল বিরোধিতা। রিপোর্ট বলছে, এই রিচার্জ প্ল্যানগুলি আবারও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে। দেশের বড় বড় টেলিকম কোম্পানি যেমন Jio, Airtel এবং Vi এই বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম আরও বাড়াতে পারে। এর ফলে প্রিপেইড ও পোস্টপেইড উভয় ব্যবহারকারীকেই বেশি টাকা দিতে হতে পারে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের পকেটে। বিশেষ করে যারা ইতিমধ্যেই কম খরচে মোবাইল ব্যবহার করেন, তারা বড় ধাক্কা খাবেন।
এরই মধ্যে দাম বেড়েছে
ব্রোকারেজ ফার্ম বার্নস্টেইনের রিপোর্ট অনুসারে, এই ট্য়ারিফ বৃদ্ধি একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের অংশ যা 2027 সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কোম্পানিগুলি বিশ্বাস করে, এই দাম বৃদ্ধি তাদের রাজস্ব বৃদ্ধি করবে ও নেটওয়ার্কের উন্নতিতে সাহায্য করবে। গত বছরও টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের প্ল্যানগুলিকে ব্যয়বহুল করেছিল। সেই সময় টেলিকম সংস্থাগুলি বলেছিল, ব্যবহারকারীদের জন্য 5G পরিষেবা শুরু করার পরেও প্ল্যানের দাম বাড়ানো হয়নি। সেজন্য এখন দাম বাড়ানো দরকার ছিল। এখন কোম্পানিগুলি যদি এ বছর আবার দাম বাড়ায়, তাহলে ব্যবহারকারীরা অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন।
কেন দাম বাড়তে পারে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু কারণে প্ল্যানের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ানো হচ্ছে। মূলত 5G নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তিগত ব্যয়ের কারণে কোম্পানিগুলিকে বিপুল বিনিয়োগ করতে হবে। স্পেকট্রাম কেনা ও পরিকাঠামো মজবুত করতে অনেক খরচ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন এসবের বোঝা গ্রাহকদের ওপর চাপানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কোম্পানিগুলি। মানুষ ইতিমধ্যে প্রতি মাসে 28 দিনের স্বাভাবিক রিচার্জের জন্য গড়ে 200 টাকা খরচ করছে। আবার ট্য়ারিফ বাড়লে গরিব ও মধ্যবিত্ত ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল ব্যবহার করা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।