দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হচ্ছেন এনডিএ প্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণাণ। ১৪তম উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রত্যাশা ছাপিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন এনডিএ প্রার্থী। তিনি ভোট পেলেন ৪৫২টি। বিরোধী প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি পেলেন মাত্র ৩০০ ভোট। অন্তত ১৫টি ভোট বাতিল হয়েছে বলে খবর। উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। খাতা-কলমে শাসক জোট এনডিএ-র পক্ষে ছিল ৪২৫টি ভোট। জোট সঙ্গীদের পাশাপাশি অতিরিক্ত ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থন পেয়েছে এনডিএ শিবির। কয়েকজন নির্দল সাংসদও এনডিএ-কে সমর্থনের কথা ঘোষণা করে। সব মিলিয়ে এনডিএর মূল চ্যালেঞ্জ ছিল আগেরবারের ব্যবধানের অন্তত কাছাকাছি যাওয়া। ২০২২ সালে এনডিএ-র প্রার্থী ধনখড় বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে ৩৪৬ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এবার সেই ব্যবধান কমে দাঁড়াল ১৫২ ভোট। এদিনের নির্বাচনে ক্রস ভোট হয় কিনা সেদিকে নজর ছিল গোটা দেশের। ভোট শেষে বিরোধী শিবিরের তরফে দাবি করা হয়, কোনও ক্রস ভোট হয়নি। বিরোধীদের সমর্থন ঘোষণা করা ১০০ শতাংশ সাংসদ ভোট দিয়েছেন। এবং বিরোধী প্রার্থীকেই দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেন, সংসদের ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। বিরোধী শিবিরের ৩১৫ জন সাংসদই ভোট দিয়েছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল প্রত্যাশার তুলনায় ভোট কম পেল ইন্ডিয়া জোট। আবার এনডিএ শিবির খানিকটা হলেও বেশি ভোট পেয়েছে। ফলে ক্রস ভোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল যেমন ঘোষিতভাবেই বিজেপির পক্ষে। তিনি এনডিএ প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ৭৮১ ভোটের ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে ১৪ জন সাংসদ অনুপস্থিত ছিলেন। ভোট দেন ৭৬৭ জন সাংসদ। এর মধ্যে বাতিল ঘোষণা করা হয় ১৫টি ভোটকে। এর মধ্যে ৪৫২টি ভোট পেয়েছেন রাধাকৃষ্ণণ এবং ৩০০ ভোট পেয়েছেন সুদর্শন রেড্ডি। তাৎপর্যপূর্ণভাব্রে পদ্ধতিগত ভুলের জন্য ১৫টি ভোট বাতিল হয়েছে। এই ১৫টি ভোট কাদের সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
With a victory margin of over 150 votes, the country’s next Vice President will be NDA candidate C.P. Radhakrishnan.


