গোলাপ

মধুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। মধু ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে পুষ্টি যোগায়। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের ক্ষতি হতে দেয় না। এ ছাড়াও, মধু ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করে এবং ত্বক কোমল ও সুস্থ রাখে।

এজন্য গোলাপের পাপড়ি ভালো ভাবে ধুয়ে গোলাপ জলে প্রায় ৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এর পর ভেজানো পাপড়িগুলি গোলাপ জল-সহ ভালো করে পিষে নিন। এই পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে আধ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। মুখে গোলাপ ও মধুর প্যাক লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন কিছুক্ষণ। তার পর ২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এই ফেস প্যাক ত্বক উজ্জ্বল করে, ত্বকের ময়লা অপসারণ করে ত্বক পরিষ্কার করে এবং সুস্থ রাখে।

গোলাপের পাপড়ি, দুধ ও চন্দনের ফেস প্যাক: গোলাপের পাপড়ি পিষে তার সঙ্গে ২ টেবিল চামচ চন্দন পাউডার এবং কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। ফেস প্যাকটি মুখে লাগিয়ে শুকোতে দিন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

নারকেল দুধ, অলিভ অয়েল এবং গোলাপের পাপড়ির ফেস প্যাক: নারকেলের দুধ ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নারকেল দুধ এবং অলিভ অয়েল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বক আর্দ্র রাখে। ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফেস প্যাক ত্বক সুস্থ রাখে ও উজ্জ্বল রাখে।

গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে এতে ৪ টেবিল চামচ নারকেল দুধ এবং ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরা এবং গোলাপের ফেস প্যাক: শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেট করতে এই ফেস প্যাক অবশ্যই ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, ত্বককে টানটান করতেও সাহায্য করে। গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে তার সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাকটি ব্রণ-পিম্পল সারাতেও কার্যকর।

কমলালেবুর খোসা এবং গোলাপের ফেস প্যাক: কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন গোলাপ ফুলের পাপড়ির পেস্ট আর মধু। পুরো মুখে প্যাকটি লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি মুখের দাগছোপ তুলতে বেশ সহায়ক। রোদ এবং দূষণের ফলে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা থেকে ত্বককে রক্ষা করে এই প্যাক।