মহারাষ্ট্রের কুরসি কার? ফলপ্রকাশের আগে দড়ি টানাটানি মহা বিকাশ আঘাড়ি এবং মহাজুটি দুই শিবিরেই। ‘আমাদের নেতাই হবেন মুখ্যমন্ত্রী’, বলছেন ৫ দলের নেতা। শোনা যাচ্ছে, ভোটের পর কুরসির জন্য প্রয়োজনে শিবির বদলাতেও রাজি একাধিক দল। অতএব, ফলপ্রকাশের পর মহারাষ্ট্রে ‘নয়া খেলা’র সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ভোটের ফল এখনও ঘোষণা হয়নি। এক্সিট পোল বলছে, খানিক এগিয়ে বিজেপি জোট। কিন্তু ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রকাশ্যে দুই শিবিরই সরকার গড়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস দেখানোর চেষ্টা করছে। অথচ ভিতরে ভিতরে সংশয় সব শিবিরেই আছে। এসবের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে বিবাদ চরমে মহা বিকাশ আঘাড়িতে। অধিকাংশ এক্সিট পোল বলছে, ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে আঘাড়ি। অথচ, আঘাড়ির নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ধরে টানাটানি করছেন।
কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি নানা পাটোলে এক্সিট পোলের পরই বলে দিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে সরকার হবে আঘাড়ির। আর তাতে নেতৃত্ব দেবে কংগ্রেস। তাঁর ইঙ্গিত স্পষ্ট, কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীই শপথ নেবেন ২৫ নভেম্বর। শুনে আবার খাপ্পা শিব সেনা উদ্ধবের সঞ্জয় রাউত। তিনি বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেটা ঠিক করা হবে জোটসঙ্গীদের বৈঠকে। পাটোলে সাহেবকে যদি কংগ্রেস হাই কম্যান্ড মুখ্যমন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে, তাহলে মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধীদের সেটা প্রকাশ্যে ঘোষণা করা উচিত।” দুই শরিকের মধ্যে বিবাদে অবশ্য খানিক চুপ শরদ শিবির। পওয়ার অপেক্ষা করছেন ফলপ্রকাশের।
অশান্তির আগুন অবশ্য জ্বলছে শাসক শিবিরেও। একনাথ শিণ্ডের শিব সেনার নেতা সঞ্জয় শীর্ষত বলছেন, “মহাজুটি শিণ্ডের নেতৃত্বেই নির্বাচনে গিয়েছিল। তাই কুরসির অধিকার তাঁরই।” শুনে বিজেপি নেতা প্রবীণ ডারেকরের বক্তব্য, “বিজেপিই মহাজুটির বড় শরিক তাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উইত ফড়ণবিসের।” তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য এনসিপির অজিত শিবিরের। অজিত শিবিরের নেতা অমল মিতকারী বলছেন, “ফলাফল যা-ই হোক কিংমেকার হবেন অজিত পওয়ার।” অর্থাৎ ফলপ্রকাশের পর ‘কিংমেকার’ হতে অজিত যে শিবির বদলাতে পিছপা হবেন না, সেটাও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি।