GB Hospital
GB Hospital

রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা কে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য । আর সেই শুভ চেষ্টায় কালিমা লিপ্ত করছেএকাংশ নার্স সহ কিছু স্বাস্থ্য কর্মী । অথচ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতি মাসে মোটা টাকা গুনছেন ।কিন্ত তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালনের নাম গন্ধ নেই । স্বাস্থ্য দপ্তর এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নির্বিকার ।রবিবার রাতে জিবি হাসপাতালে ঘটে গেল এক হারহিম মর্মান্তিক ঘটনা ।
ভয়েজ

নার্সের গাফিলতির কারণে এক রোগীর মৃত্যু

নার্সের গাফিলতির কারণে জিবি হাসপাতালে মৃত্যু সদ্যজাত জন্ম দেওয়া শিশুর মায়ের । অভিযোগ তুললো মৃতার পরিবার । মৃতার নাম সুপ্রিয়া দাস ।রবিবার রাতে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি । বাড়ি খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মোহরছড়া এলাকায় । ঘটনার বিবরনে জানা যায় , হাসপাতালের বেড থেকে পরে নাকি এই মৃত্যু ঘটেছে রোগীর। বেড থেকে পড়ার পর রোগীর কোন খবরই না রাখেনি হাসপাতালের নার্সরা । প্রায় অনেকক্ষণ যাবৎ বেডের থেকে নিচে পড়ে রয়েছে সেই রোগী । রাতভর সদ্যোজাত শিশুর মা যন্ত্রণায় ছটফট করলেও চিকিৎসা হয়নি বলে অভিযোগ । পরিস্থিত সামাল না দিতে পেরে রোগীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয় । কিছুক্ষণ পরে সে সদ্যপুত্র সন্তান জন্ম দেওয়া মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরিবারের অভিযোগ নার্সদের গাফিলতির কারণে সুপ্রিয়া দাসের মৃত্যু হয়। যদিও পুত্র সন্তান শিশুটি এখন ভাল আছে।
জিবিপি হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিভাগের পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে । নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা যে যার মর্জি মতো চলছে । রোগীদের প্রতি বরাবর চলে তাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য । পাশাপাশি রোগীর পরিবার-পরিজনের সাথে চলে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার । স্পেশাল নার্স না রাখলে সেই রোগীর প্রতি চলে চরম অমানবিকতার অবিচার । অথচ প্রতি রাত্রে স্পেশাল নার্সদের ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। কিন্ত রোগী দেখার নাম গন্ধ নেই । রাত্রি দশটা বাজার আগেই স্পেশাল নার্সরা স্বয়নে স্বপনে নিদ্রায় চলে যান । যার নামে যাক রোগীর পরিষেবা। এই হলো রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবিপি হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিভাগের হালচাল । রবিবার সুপ্রিয়া দাস পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন । তারপরে মা এবং সদ্যজাত শিশু দুজনেই সুস্থ ছিলেন । তাদেরকে দেখ ভালো করার জন্য একজন স্পেশাল নার্সও নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপরেও কি করে রাত্রিবেলা সেই সদ্যজাত শিশুর মা বিছানা থেকে নিচে পড়ে গেল ? সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় এই ঘটনার পর সুপ্রিয়া দাসের স্বামী বা তার পরিবার-পরিজনের কাউকে এই ঘটনা জানানো হয়নি । যখন পরিবারের লোকজন জানতে পারলো । তখন বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের দাদাগিরিতে পরিবারের লোকজন ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে পারল না ,। স্পেশাল নার্স এবং বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের এই নাটকের ফলে সদ্যজাত শিশুর মা অকালে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল । কে দেবে তার জবাব ? সরকারি নার্স সহ স্পেশাল নার্স এবং বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা জিবি হাসপাতালকে একটি বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করেছে । নগদ নারায়ণ না ছাড়লে কোন সাহায্যই মেলেনা তাদের কাছ থেকে। অভিযোগ মৃতা সুপ্রিয়া দাসের স্বামী সুমন দাসের ।
এখন প্রশ্ন হল কার গাফিলতি জন্য মৃত্যু মুখে পতিত হলেন এই মা ? যেই ফুটফুটে পুত্র সন্তানটি পৃথিবীর আলো বাতাস না দেখার আগেই মাতৃহারা হতে হল। স্ত্রী হারা স্বামী কার কাছে জবাব তার এই হৃদয়বিদারক ঘটনার বিচার চাইবেন ? সুমন দাস এবং সুপ্রিয়া দাসের সামাজিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় মাত্র দেড় বছর আগে । কে জানত তাদের ঘরে তাদের সংসার আলো করে ফুটফুটে সন্তান জন্ম হওয়ার পর এত বড় একটা অঘটন ঘটে যাবে ? তবে পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ নার্সদের গ্রাফিলতির কারণেই সদ্য মা হওয়া সুপ্রিয়া দাস তাদের ছেড়ে চলে গেল । যদিও স্ত্রী হারা স্বামী তার ন্যায্য বিচারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন । এখন দেখার আইন কতটুকু স্ত্রী হারা স্বামী সুমন দাসের পাশে দাঁড়ায় ।