কৃতিত্তের সঙ্গে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন রাজীব ভট্টাচার্য। আগামীদিনে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলে ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য খুব ভালো কাজ করবেন তিনি। বুধবার ত্রিপুরা বিধানসভায় রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে রাজীব ভট্টাচার্যের মনোনয়ন পত্র জমা করার সময়ে সংবাদ মাধ্যমকে এই আশার কথা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। উল্লেখ্য, ৬০টি বিধানসভা আসনের ত্রিপুরায় রাজ্যসভার জন্য ১টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। বর্তমানে সেই আসন শূন্য রয়েছে। আর সেই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে মনোনীত করেন। যথারীতি রাজ্যসভার শূন্য আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বুধবার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার উপস্থিতিতে ত্রিপুরা বিধানসভায় গিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন ভাজপার প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। বিধানসভায় রিটার্নিং অফিসারের হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দেন তিনি। পরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি, তিপ্রা মথা ও আইপিএফটির তরফে মিলিতভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে এবার রাজ্যসভার শূন্য আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে মনোনীত করা হয়েছে। আমি আশাবাদী তিনি যেভাবে প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব দক্ষতা ও কৃতিত্বের সঙ্গে পালন করেছেন আগামীদিনেও সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হলে ত্রিপুরার সার্বিক কল্যাণে খুব ভালো কাজ করবেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই। রাজীব ভট্টাচার্যের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়ে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ, খাদ্য ও পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বন মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা সহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য সহ ভারতীয় জনতা পার্টি এবং শরিক দলের অন্যান্য বিধায়ক ও শীর্ষ নেতৃত্ব।