ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। তাতে, মাধ্যমিকে ২৫৬৭৩ জন এবং উচ্চমাধ্যমিকে ১৭০৫২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। শতাংশের হারে মাধ্যমিকে ৮৬.৫৩ শতাংশ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৭৯.২৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন।জেলাস্তরে ফলাফলে মাধ্যমিকে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় এবং উচ্চ মাধ্যমিকে সিপাহীজলা জেলায় পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদ সভাপতি ড. ধনঞ্জয় গণ চৌধুরী বলেন, এবছর মাধ্যমিকে ২৯৬৭০ জন পরীক্ষা দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৩৮৬১ জন ছাত্র এবং ১৫৮০৯ জন ছাত্রী রয়েছে। সারা ত্রিপুরায় ১০৫৭ টি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। তিনি জানান, আটটি জেলায় পাশের হারে মাধ্যমিকে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা শীর্ষে রয়েছে। ৯২.৬৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ওই জেলায় মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে, খোয়াই জেলায় সবচেয়ে কম ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। ওই জেলায় ৭৮.৫৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উচ্চ মাধ্যমিকে ২১৫০৬ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ৯৯২০ জন ছাত্র এবং ১১৫৮৬ জন ছাত্রী রয়েছে। তিনি বলেন, জেলাস্তরে ফলাফলে সিপাহীজলা জেলা উচ্চমাধ্যমিকে শীর্ষে রয়েছে। ৮৭.৩৮ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ওই জেলায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে, খোয়াই জেলায় সবচেয়ে কম ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। ওই জেলায় ৭১.৯৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব ডঃ দুলাল দে জানিয়েছেন, এ বছর মাধ্যমিকে শারীরিকভাবে দুর্বল ১৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১০ জন পাশ করেছে। অপরদিকে উচ্চমাধ্যমিকে ৯০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ জন পাশ করেছে।তিনি জানান, আগামী ৭, ৮ এবং ৯ মে রিভিউ ফর্ম পূরণ করে ছাত্রছাত্রীরা নিজ স্কুলে নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য ফর্ম পূরণ করতে পারবেআগামী দুই মাসের মধ্যে বছর বাঁচাও পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।