এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার। আবারও সলমন খানের প্রাণনাশের হুমকি। ‘বেঁচে থাকতে চাইলে পাঁচ কোটি দিতে হবে অথবা আমাদের (বিষ্ণোইদের) মন্দিরে এসে ক্ষমা চাইতে হবে’, এমনই হুমকি বার্তা নাকি দেওয়া হয়েছে মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোলরুমে মেসেজ পাঠিয়ে।
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। দশেরার দিন বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়। পূর্ব বান্দ্রায় বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি (অজিত) নেতা। সেই সময়ই তার উপরে দুষ্কৃতীদের হামলা হয়। আচমকাই ঘটনাস্থলে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতী। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। গুলি ফুঁড়ে দেয় সিদ্দিকির শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সিদ্দিকির। ঘটনায় একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বন্ধুর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন সলমন। শোনা গিয়েছে, অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন তিনি। কিন্তু হুমকির শেষ নেই। এর আগে হুমকি বার্তা পাঁচ কোটি টাকার দাবি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার অভিযুক্ত হিসেবে জামশেদপুরের এক সবজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যেই আবার কিছুদিন আগে আবার সলমন খান ও বাবা সিদ্দিকির ছেলে তথা মুম্বইয়ের বান্দ্রা-পূর্ব আসনের বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নয়ডা থেকে ২০ বছরের এক যুবককে পাকড়াও করা হয়।
এর পরও হুমকির পালা অব্যাহত। গত ৩০ অক্টোবর মুম্বই পুলিশের কন্ট্রোল রুমেই সলমনের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় দুকোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। এবারে টাকার পরিমাণ পাঁচ কোটি। আর এই হুমকি লরেন্স বিষ্ণোইর ভাইয়ের নাম করে দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। ইতিমধ্যেই বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উদ্বিগ্ন সলমন-অনুরাগীরা।