সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলে টিকে রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ তোলে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান। জবাবে ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে মুম্বই করল ১৭৪। অপরাজিত শতরান করে মুম্বইয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখলেন সূর্যকুমার যাদব।
জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে গিয়েছিল মুম্বই। পর পর আউট হয়ে যান ঈশান কিশন (৭ বলে ৯), রোহিত শর্মা (৫ বলে ৪) এবং নমন ধীর (৯ বলে শূন্য)। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া মুম্বইকে লড়াইয়ে ফেরালেন সূর্যকুমার এবং তিলক বর্মা। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে পাল্টা আগ্রাসী ব্যাটিং করে তাঁরা চাপে ফেলার চেষ্টা করেন হায়দরাবাদের বোলারদের। তুলনায় বেশি আগ্রাসী ছিলেন সূর্যকুমার।মূলত তাঁর ব্যাটে ভর করেই জয় তুলে নিল পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নেরা। ৫১ বলে ১০২ রানের অনবদ্য অপরাজিত ইনিংস খেললেন তিনি। মারলেন ১২টি চার এবং ৬টি ছক্কা। তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেললেন তিলকও। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩২ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। মারলেন ৬টি চার। তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠল ১৪৩ রান।
ভুবনেশ্বর কুমার, প্যাট কামিন্সেরা বেশ ভাল বল করেও দলকে জেতাতে পারলেন না। কামিন্স ৩৫ রানে ১ উইকেট নিলেন। ২২ রানে ১ উইকেট ভুবনেশ্বরের। হায়দরাবাদের অন্য বোলারেরা অবশ্য সুবিধা করতে পারলেন না।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করেও ওয়াংখেড়ের ২২ গজে সুবিধা করতে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ছাড়া হায়দরাবাদের কোনও ব্যাটারই তেমন রান পেলেন না। শেষ দিকে ৩৫ রান করে দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন অধিনায়ক কামিন্স। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ড্য। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা প্রমাণ করে দিলেন যশপ্রীত বুমরা, পীযূষ চাওলারা। হার্দিক নিজেও ভাল বল করলেন এ দিন। হায়দরাবাদের কাছে হারলেই এ বারের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যেতে হবে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে খেলতে নেমেছিল মুম্বই। হার্দিক ৩১ রানে নিলেন ৩ উইকেট। ৩৩ রানে ৩ উইকেট চাওলার। বোলারেরা দলের আশা জিইয়ে রাখলেন। বাকি কাজ সারতে হবে ব্যাটারদের।
হায়দরাবাদের হয়ে ওপেনার হেড করলেন ৩০ বলে ৪৮ রান। ৭টি চার এবং ১টি ছয় মারলেন তিনি। শুরুটা ভাল করতে পারেননি অন্য ওপেনার অভিষেক শর্মা। তিনি করলেন ১৬ বলে ১১। ব্যর্থ হলেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল (৫), হেনরিক ক্লাসেনও (২)। ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারানোর মধ্যেই কিছুটা চেষ্টা করেন নীতীশ রেড্ডি। তিনি ১৫ বলে ২০ করেন চার নম্বরে নেমে। মার্কো জানসেন ১২ বলে ১৭। বাংলার শাহবাজ় আহমেদের অবদান ১২ বলে ১০। শেষ দিকে কামিন্স অপরাজিত থাকেন ১৭ বলে ৩৫ রান করে। মারেন ২টি চার ও ২টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন সনবীর সিংহ। তিনি করেন ৭ বলে ৮। হার্দিক, চাওলা ছাড়া প্রত্যাশা মতো ভাল বল করেন বুমরাও। ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি। অনশুল কাম্বোজের ৪২ রানে ১ উইকেট।