Nita Ambani shares story of Hardik's family
Nita Ambani shares story of Hardik's family

আইপিএল আবির্ভাব যেমন দুনিয়ার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভোল বদলে দিয়েছিল, ঠিক একইরকম ভাবে জীবন বদলে গিয়েছে বহু ক্রিকেটারের। সুপ্ত প্রতিভারা আজ বিশ্বক্রিকেটে তারকায় পরিণত হয়েছেন। দিন আনি দিন খাই থেকে তাঁরা এখন কোটিপতি! সেই তালিকায় ছিলেন হার্দিক এবং ক্রুণাল পাণ্ডিয়াও। একটা সময় অর্থের অভাবে তাঁরা নাকি কেবল ম্যাগি খেয়ে চালিয়েছেন তাঁরা! আজ বিশ্বাস করা কঠিন হলেও সত্যিটা তুলে ধরলেন খোদ নীতা আম্বানি।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁর কাছে পরিবার। একথা বরাবর বলে এসেছেন মালকিন নীতা আম্বানি। তাই নিজের দলের ক্রিকেটারদেরও খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে নানা ভালো-খারাপ মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছেন। আর আইপিএলে পাঁচবারের জয়ী দল সেই মুম্বইয়ের দুই সদস্য হার্দিক এবং ক্রুণালের প্রথমদিককার কথা তুলে ধরলেন নীতা। মুকেশ আম্বানির পত্নী জানান, আইপিএলের একেবারে গোড়ার কথা। পাণ্ডিয়া ভাইয়েরা যখন রোগা-পাতলা ছিলেন, তখন তাঁদের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাৎ হয় নীতার। এই টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়ার আগে আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল তাঁদের পরিবার। নীতা আম্বানির কথায়, “আইপিএলে একটা নির্দিষ্ট টাকা খরচের নিয়ম রয়েছে। ফলে হুট করে কাউকে দলে নেওয়া যেত না। তাই প্রতিভা খোঁজার জন্য আমি আর আমার দল রনজি ট্রফি-সহ নানা ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচে পৌঁছে যেতাম। একদিন দুজন রোগা-পাতলা ছেলেকে আমার দল ক্যাম্পে নিয়ে এল। ওদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি টাকার অভাবে তিন বছর ধরে ওরা নাকি শুধু ম্যাগি খেয়ে কাটিয়েছে!”

নীতা জানান, ওই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে তিনি খেলার প্রতি প্যাশন, ভালো খেলার খিদেটা খুঁজে পেয়েছিলেন। সেই যে নজরে পড়েছিলেন, তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি হার্দিক-ক্রুণালকে। ২০১৫ সালের আইপিএল নিলামে হার্দিককে ১০ লাখে দলে নেয় মুম্বই। আজ যিনি দলের অধিনায়ক। ২০১৬ সালে মুম্বই দলে ২ কোটিতে খেলার সুযোগ পেয়ে যান ক্রুণালও।

তবে দুই ভাইয়ের পাশাপাশি জশপ্রীত বুমরাহর মতো প্রতিভা তুলে আনার মূল্যবান কাজটিও করেছিল নীতা আম্বানির দল। ২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দেন বুমরাহ। পরের বছর নিলামে ওঠে ভারতীয় পেসারের নাম। ১.২ কোটিতে তাঁকে কিনে নেয় মুম্বই। বাকিটা ইতিহাস।