শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ কে আদ্য শ্রাদ্ধ করে খোয়াই শহরে একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক একচেটিয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিদ্যা ব্যবসা। একরকম শিক্ষা দপ্তর কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে খোয়াই শহরে দীর্ঘদিন যাবত একচেটিয়া বিদ্যা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক সরকারি শিক্ষক কর্মচারী ।
অধিকাংশ অভিভাবকদের অভিযোগ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে না পড়লে তাদের পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়। আর যেসব ছাত্রছাত্রীরা উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকের নিকট টিউশন নেয় তাদের পরীক্ষার পূর্বে আগাম সাজেশন এর নামে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তুলে দেওয়া হয়। এরকম খোয়াই শহরে একাধিক শিক্ষক রয়েছে।
এ হেন গুণধর শিক্ষকরা হলেন খোয়াই সরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের অংক শিক্ষক নিরজ গোপ, জাম্বুরা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর ইংরেজি বিষয়ক শিক্ষক সুবিমল দেবনাথ, খোয়াই সরকারি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের শিক্ষক সম্যক গুপ্ত ও একই স্কুলে কর্মরত তার স্ত্রী ফিজিক্সের শিক্ষিকা মৌসুমী বাগচী, একি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোজ রায়, খোয়াই সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রণব পাল, একি বিদ্যালয়ের ফিলোসোফির শিক্ষক সুজিত ঘোষ। যদিও বিদ্যালয়টি বিদ্যা জ্যোতি প্রকল্পের আওতাধীন হওয়ার কারণে তিনি বিদ্যালয়ে থাকতে পারবেন না জেনে তিনি বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করছেন এবং দেদার টিউশন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাছাড়া রয়েছেন অন্য আরেক স্কুলের শিক্ষক অনুরুদ্ধ নাথ । শুধু স্কুলের শিক্ষক – শিক্ষিকারাই নয়। বিদ্যা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন একজন বিদ্যালয়ের পরিদর্শকও। উনার নাম বিষ্ণু দত্ত। উনার কর্মস্থল হল ধলাই ডিস্টিকের কমলপুর। উনি লাল ছড়া স্থিত নিজ বাড়িতে দীর্ঘ বছর ধরে নিজ স্ত্রীর নামে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে বিদ্যা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে কোন সরকারি শিক্ষক টিউশন বাণিজ্য করতে পারবে না।
যদি কোন অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু সরকারি শিক্ষকগণ একপ্রকার , সরকারি নির্দেশকে কলাপাতা মান্যতা দিয়ে দেদার বিদ্যা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি নির্দেশ যেন তাদের কাছে কচু পাতা । রাজ্য শিক্ষা দপ্তর আদো কী এ ধরনের শিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে নাকি তাদের বিদ্যা ব্যবসা চালিয়ে যাবার মান্যতা প্রদান করবে । সেটাই এখন বড় প্রশ্ন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ।