3704474a 5ea5 4358 853b 6437fa124b7a 1068x7122 1

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলা করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রবিবার মহাকরণে রাজস্ব দপ্তরের পক্ষ থেকে মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলার জন্য কি কি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে এমবিবি বিমান বন্দরস্থিত আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা পার্থ রায় জানান রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে। তার প্রভাবে ত্রিপুরা রাজ্যে দক্ষিন, গোমতী, সিপাহীজলা, ধলাই, খোয়াই এবং পশ্চিম জেলায় রবিবার রাতে বজ্রপাত, ভারি বৃষ্টি সহ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঊনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরা জেলায় বজ্রপাত সহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার প্রতিটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে গোমতী ও সিপাহীজলা জেলায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে। একই সাথে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। তাই এই দুইটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তর, ঊনকোটি ও ধলাই জেলায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য জেলায় হাল্কা বৃষ্টি সহ বজ্রপাত হতে পারে।

সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেস পাণ্ডে বলেন ঘূর্ণিঝড় রিমাল যে কোন সময় দিক পরিবর্তন করতে পারে। রাজস্ব দপ্তরের পক্ষ থেকে ২৪ মে জেলা শাসকদের রিমাল মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের মুখ্য সচিবের উপস্থিতিতে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সেই বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ২৭ ও ২৮ মে সকল অঙ্গনওয়ারী সেন্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জেলা শাসক ও খাদ্য দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখার জন্য। এনডিআরএফ-এর সাথে বৈঠক করা হয়েছে।

 এনডিআরএফ-এর তিনটি দল পৃথক পৃথক জেলায় মোতায়েন করা হবে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখার জন্য। বন দপ্তরের কর্মী, দমকল বাহিনীর কর্মী ও পূর্ত দপ্তর সম্মিলিত ভাবে কাজ করবে। ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলা করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেস পাণ্ডে। এমবিবি বিমান বন্দরের অধিকর্তা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান শনিবার স্টেক হোল্ডার নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে রবিবার বিকালে সোমবার বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।