বিপ্লব কুমার দেব এবং কৃতি সিং দেববর্মা জয়ী হওয়া মানে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বিদায় ঘন্টা বাজবে। রাজ্যে আবারও জঙ্গলে রাজত্ব শুরু হবে। পূর্ব ত্রিপুরা আসনের ইন্ডিয়া জোটের মনোনীত প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং -এর সমর্থনে রবিবার কুমার ঘাটে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় এ কথা বলেন রাজ্যের ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব তথা বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।
তিনি বলেন, একজন এম এ পাশ শিক্ষিত ব্যক্তি রেবতী ত্রিপুরা, যার বিরুদ্ধে চারিত্রিক ও অর্থনৈতিক কোন অভিযোগ নেই। তিনি হতে পারেন বিজেপি, কিন্তু তাকে বিজেপি বাদ দিয়ে এমন একজনকে প্রার্থী করেছে যে ত্রিপুরার সংস্কৃতি ও ভাষার সাথে কোনদিন জড়িত ছিল না। এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের এফিডেভিট রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্যাড়াকল। তাকেই কেন বিজেপি প্রার্থী করেছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ আদিবাসী ও বাঙালীদের মধ্যে অবিশ্বাসে প্রাচীর তৈরি করতে মাস্টারমাইন্ড হয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। এবং লড়াই শুরু করেছে পহেলা পার্টি উলা পার্টি বলে। তার মানসিকতার মধ্যে সব জাতি, ধর্ম এক হওয়ার দরকার থাকলেও তা নেই। নিজেকে আবার বোবাগ্রা বলে দাবি করেন।
প্রথম থেকেই সে এবং তার পরিবার বাঙালি বিদ্বেষী বার্তা আধিবাসীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এভাবে কোন নেতা জাতির নামে সমাজকে বিভাজন করতে পারে বলে জানা নেই। তাই তাদের ভোট দিয়ে নিজের পায়ে কোড়াল মারবেন না । তাই এ সমস্ত চিন্তাধারার মানুষকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তারা জয় লাভ করা মানে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা।
এক অংশে মানুষ অন্য মানুষের মানুষকে শত্রু মনে করবে। আর এই প্রচেষ্টা করছে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ ও তার বোন কৃতি সিং দেববর্মা বলে জানান বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। আরো বলেন, তিপরা মথা প্রথমে ইন্টার লোকেটার, ওয়ান লাস্ট ফাইট, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড, সাংবিধানিক দাবি সহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেছেন। পরে যখন বোন টিকিট পেয়ে গেছেন তখন সমস্ত দাবি জলে দিয়ে বিজেপি জিন্দাবাদ বলেছেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। আর বলেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন বিগত দিনে বিপ্লব কুমার দেবকে বাংলাদেশে বলেছিলেন। এখন দুজনের মধ্যে খুব মাখামাখি চলছে। এটা তাদের রাজনীতি বলে জানান সুদীপ রায় বর্মন। এদিন পথ সভার আগে একটি মিছিল সংঘটিত করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।