BJP Rally on City Streets Over National Herald Issue
BJP Rally on City Streets Over National Herald Issue

জাতীয় হেরাল্ড কেলেঙ্কারির দোষী হলেন সোনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধি। তাঁদের কারণে আজ গোটা দেশ কলঙ্কিত। এমনটাই দাবি করলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য। এরই প্রতিবাদে আজ ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ত্রিপুরা প্রদেশের উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়েছে। এদিনের মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শেষে পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য্য, পাপিয়া দত্ত সহ অন্যান্যরা। এদিন শ্রী ভট্টাচার্য্য বলেন, গত ১৫ এপ্রিল ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত চারবছর ধরে ইডি অনুসন্ধান করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী এবং নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। তাতে, হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এদিন তিনি আরও বলেন, দ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড হল দ্য অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড দ্বারা প্রকাশিত একটি ভারতীয় সংবাদপত্র এবং রাহুল গান্ধীক এবং সোনিয়া গান্ধী একটি কোম্পানি ইয়াং ইন্ডিয়া লিমিটেডের মালিকানাধীন। এটি ১৯৩৮ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু তার জয়ের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ গোটা দেশ তাঁদের জন্য কলঙ্কিত হয়েছে। তাঁর কথায় ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সনিয়া, রাহুল এবং শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা। যার পর ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানের দখলে চলে আসে। ৯০ কোটি টাকা দেনার বোঝাও চাপে তাদের ঘাড়ে। এর কিছু দিন পর ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসের তরফে ঋণের টাকা মকুব করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে গোটা দেশ জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। তাঁর কটাক্ষ, এত বড়ো আর্থিক কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত হয়েও তাঁদের লজ্জা নেই। গোটা দেশবাসীকে তাঁদেরকে বর্জন করেছে। তাঁদেরকে কেউ বিশ্বাস করে না। তাই নিরুপায় হয়ে সিপিএমের সাথে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। গোটা ত্রিপুরাবাসী বাম কংগ্রেসের অত্যাচার ভুলেননি।