Brilliant student in financial crisis! Parents dreaming of a future for their daughter!
Brilliant student in financial crisis! Parents dreaming of a future for their daughter!

অর্থ সংকটে মেয়েকে কলেজ পড়ানোর স্বপ্ন অধরা এক বিকলাঙ্গ পিতার। মেয়েকে কলেজে পড়াবে। মেয়ে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পিতা-মাতার পাশে দাঁড়াবে স্বপ্ন দেখছে এক বিকলাঙ্গ পিতা। কারণ এই বছর সি বি এস ই বোর্ডে ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ি চড়িলাম বিদ্যা জ্যোতি স্কুল থেকে দ্বাদশ ফাইনালে ৩৫০ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে মেধাবী ছাত্রী মুক্তা দেবনাথ। তার পিতা ভব রঞ্জন দেবনাথ। মা রিঙ্কু দেবনাথ। তাদের বাড়ি বিশ্রামগঞ্জ থানাধীন অন্তর্গত দক্ষিণ চড়িলাম ৪ নং কলোনি এলাকায়। অত্যন্ত গরিব। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় পরিবারটির। তার পিতা ভব রঞ্জন দেবনাথ বিকলাঙ্গ। তার একটি পা নেই। ২০০৬ সালে যান দুর্ঘটনায় তার পিতার একটি পা চলে যায়। এরপরেও জীবনযুদ্ধে হার মানেনি সে।তার চোখে মুখে স্বপ্ন মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করবে। সে সেলাইর কাজ করে। চড়িলাম পুরান বাজারে একটি ছোট্ট দোকান ভাড়া নিয়ে সেলাইয়ের কাজ করে । অনেক কষ্ট করে এক পা দিয়ে সেলাইয়ের মেশিন চালিয়ে কোনো রকমে টুকিটাকি কাজ করে। তা দিয়েই চলে সংসার। তার স্ত্রী রিঙ্কু দেবনাথ বিকলাঙ্গ স্বামীকে সাহায্য করার জন্য এবং মেয়েকে লেখাপড়া করানোর জন্য নেমে পড়ে বিড়ি বাঁধার কাজে। এভাবেই চলছে তাদের জীবন সংগ্রাম। স্বামী এক পা দিয়ে সেলাইয়ের মেশিন চালায় স্ত্রী বিড়ি বাঁধার কাজ করে। সংসারে অভাব নিত্য সঙ্গী। ছোটবেলা থেকেই অভাবের মধ্যে বড় হয়েছে তাদের একমাত্র সন্তান মুক্তা দেবনাথ।সে অত্যন্ত মেধাবী পরিশ্রমী।সে জানে তার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা। তাই মুক্তা মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করছে। উচ্চমাধ্যমিকে এবার ভালো ফল করেছে সে। সে ভূগোল বিষয় নিয়ে স্নাত ক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করে শিক্ষিকা হয়ে বাবা মায়ের পাশে দাঁড়াতে চায়। ভূগোলে সে ৮৪ মার্কস পেয়েছে। তার প্রিয় বিষয় ভূগোল।কিন্তু তার উচ্চশিক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেয়েকে কলেজ পড়ানোর জন্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান মেধাবী ছাত্রী মুক্তা দেবনাথ তার বিকলাঙ্গ পিতা ভব রঞ্জন দেবনাথ এবং মা রিংকু দেবনাথ।সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে মেয়েটি উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারবে বলে আশাবাদী তার বিকলাঙ্গ পিতা । রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভব রঞ্জন দেবনাথ কে একটি কৃত্রিম পা দিয়ে সাহায্য করেছেন।ভব রঞ্জন দেবনাথ সংবাদ মাধ্যমে আরো জানায় এখন সবাই রেডিমেড পোশাক পরে। আগের মত কেউ এখন টেলার এর কাছে জামা কাপড় সেলাই করে না। তাই আরো বিপদে পড়ে গিয়েছি আমি। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কিভাবে মেয়েকে কলেজে পড়াবো ভেবে উঠতে পারছি না। সরকার সাহায্য করলেই আমার পক্ষে সম্ভব মেয়েটিকে কলেজে পড়ানো।মেয়ের সাফল্যে গর্বিত তার বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব পাড়া-প্রতিবেশী সহ গোটা দক্ষিণ চড়িলাম গ্রাম। চড়িলাম মন্ডল সভাপতি তাপস দাস মুক্তা দেবনাথের দুর্দান্ত ফলাফলের বিষয়টি জানার পর তাকে কিভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা যায় সেই বিষয়ে তিনি ভাবছেন । বিষয়টি ভব রঞ্জন দেবনাথ এর পরিবারের কাছে এসেছে। সবাই মিলে দরিদ্র মেধাবী কন্যা মুক্তার পাশে দাঁড়ালে তার স্বপ্ন সফল হবেই। তার সাফল্যে গর্বিত গোটা চড়িলাম।