শান্তি সম্প্রীতি বজায় থাকলে উন্নয়নমূলক কাজ আরও ভালভাবে করা যায়। রাজ্যে আইনের শাসন আছে বলেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমান সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। শুক্রবার উদয়পুর জগন্নাথ দীঘির পূর্ব পাড়ে গোমতী জেলা পুলিশ সুপারের নতুন কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য পুলিশের ১৫০ বছরের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। সমাজ ব্যবস্থায় অনেক সময় মানুষকে বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রাজ্য পুলিশ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্যে বিগত বছরের তুলনায় অপরাধমূলক কার্যকলাপ ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্য পুলিশের প্রয়াস কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তাতে সাফল্যও আসছে। তিনি বলেন, অল্প বয়সের যুবক যুবতীরা নেশায় আসক্ত হচ্ছে। তারজন্য আরও বেশি করে মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে মাদক বিরোধী প্রচারাভিযান জারি রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, মহিলাদের সুরক্ষা প্রদানেও সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য রাজ্যে ৮টি জেলায় ৯টি মহিলা থানা স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে মহিলা সংক্রান্ত যেকোনো অপরাধের বিষয়ে মহিলারা অভিযোগ জানাতে পারছেন। সহযোগিতাও পাচ্ছেন। রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারও সচেতন। সম্প্রতি রাজ্যের দুটি উগ্রবাদী সংগঠনের সাথে দিল্লিতে শান্তি চুক্তিও হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, আজকের এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে গোমতী জেলার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। তিনি বলেন, কার্যালয়ের পরিকাঠামো ঠিকঠাক থাকলে কাজের গতিও বৃদ্ধি পায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশ মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক পাঠানলাল জমাতিয়া, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার, ডিজিপি (ইন্টিলিজেন্স) অনুরাগ, ডিআইজিপি (আইন শৃঙ্খলা) ইপার মঞ্চক ডিন্যানোবা, জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার রতিরঞ্জন দেবনাথ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি হলে আয়োজিত মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী টেম্পল ট্রাস্ট এর সভায় সভাপতিত্ব করেন। সেখানে প্রসাদ প্রকল্পে নির্মিত মাতাবাড়ি ট্যুরিজম প্রজেক্ট এর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা এবং এর উদ্বোধন ও ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ও পরামর্শ দেন।