প্রসেনজিৎ দাস, আগরতলা : সমগ্র দেশের সাথে রাজ্যেও বিরোধীদের মধ্যে একটি আতাত হয়েছে। এই আতাতে রয়েছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম। এই আতাতে উভয় দলের কয়েকজনকে শুধুমাত্র দেখা যায়। তারা মুলত প্রচার করেছে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে।
বাস্তবে তারা স্বার্থ রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে। বৃহস্পতিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবি করেন প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন কংগ্রেস ও সিপিআইএম একটা সময় একে অপরের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই করেছিল। এখন তারা আতাত করে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে বলে দাবি করছে।
বাস্তবে তারা স্বার্থ রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে বললে ঠিক ছিল। বর্তমানে তারা দাবি করছে বাম আমলে যে সকল খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেই গুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বাম আমলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা তা মেনে নেবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনে নবেন্দু ভট্টাচার্য। শান্তিরবাজার মহকুমার বীরচন্দ্র মনুতে সমীর রঞ্জন বর্মণ আইনমন্ত্রী থাকা কালিন সময় ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে সমীররঞ্জন বর্মণ বলেছিলেন শ্রীদাম পাল জন রোষের বলি হয়েছেন। বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবেন্দু ভট্টাচার্য এইদিন প্রশ্ন তোলেন সেই দিনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা কি মনে করেন সেইদিনের ঘটনার পিছনে কংগ্রেসের নেতাদের কোন ইন্দন ছিল না। এই বিষয় গুলি পরিষ্কার করা প্রয়োজন। বিজেপি সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কোথাও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বলি হয় নি কেউ। তৃতীয় বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর জিরানিয়ায় গন হত্যার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পিছনে সিপিআইএম যদি মনে করে কংগ্রেসের ইন্দন ছিল। তাহলে বর্তমানে সিপিআইএম কাদের সাথে আতাত করেছে ? তার উত্তর রাজ্যবাসী জানতে চায় বলে জানান নবেন্দু ভট্টাচার্য।
বিধানসভার অভ্যন্তরে ও বাইরে কংগ্রেস ও সিপিআইএম একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। বর্তমানে তারা আতাত করে গণতন্ত্রের কথা বলছে। তারা গণতন্ত্রের স্বার্থে নয়, তারা রাজনৈতিক ময়দানে টিকে থাকার জন্য, এবং ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আকাঙ্খা পূরণের জন্য তারা বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন নবেন্দু ভট্টাচার্য। কংগ্রেস ও সিপিআইএম-এর আতাত নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে এইদিন বাম আমল ও জোট আমলের একাধিক ঘটনার বিষয়ে তুলে ধরেন নবেন্দু ভট্টাচার্য। সাংবাদিক সম্মেলনে নবেন্দু ভট্টাচার্য-র সাথে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য নবাদল বনিক।