আগামী ১৭ এপ্রিল বিকেল ৪টায় পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রে সরব প্রচার শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ প্রচারের জন্য মাঝে সময় বলতে সাকুল্যে ১২ দিন। অথচ এখনও পর্যন্ত পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পক্ষে কংগ্রেস প্রার্থী আশিস সাহার সমর্থনে একটি নির্বাচনী প্রচারেও দেখা যায়নি সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে। এমনকি মানিক সরকারের অঘোষিত লবিতে আরও যারা আছেন অর্থাৎ মানিক দে, অঘোর দেববর্মাদেরও প্রচারে অংশ নিতে দেখা যায়নি।
এমনকি তাঁরা রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী রতন দাসের সমর্থনে প্রচারেও অংশ নেননি। এ নিয়ে সিপিএমের একটা বড় অংশের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, বামফ্রন্টের বাকি তিন দলের মধ্যে। এ নিয়ে চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলেও। সিপিএমের এই অনৈক্য ও ছন্নছাড়া ভাব নিয়ে দু’দিন আগেই রামনগরে বিজেপি’র একটি নির্বাচনী জনসভায় পশ্চিম ত্রিপুরার পদ্ম প্রার্থী বিপ্লব দেব চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন যে, সিপিএম পারলে মানিক সরকারকে দিয়ে রামনগরে একটি জনসভাতে ভাষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। বিপ্লব আরও বলেছিলেন, মানিক সরকার নাকি কখনোই পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী আশিস সাহার সমর্থনে ভোট চাইবেননা।
এদিকে মেলারমাঠে যা পরিস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে, তা হল মানিক সরকার বিপ্লব দেবের দাবিকেই আপাতত ‘ মান্যতা’ দিয়ে নিজে ‘মহান কমিউনিস্ট’ (?) সাজার চেষ্টা করছেন। এরকমটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের কথায়, জাতীয় স্তরে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের থাকাটা সিপিএমের দলীয় সিদ্ধান্ত। তাহলে ত্রিপুরায় কেন তা মানছে না মানিক সরকার এন্ড কোং? এটা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে অবমাননা করারই শামিল। আর এটা হলে তাঁদের প্রত্যেকের দলীয় পদ ছেড়ে দেওয়া উচিৎ এবং তা নির্বাচনের আগেই।
এরকম আওয়াজ ইতিমধ্যেই কমরেডদের মধ্যেও উঠতে শুরু করেছে। কেউ কেউ এমনওবলছেন, সারা জীবন পার্টির পরিচয়ে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন মানিক সরকার। টানা ২০ বছর মুখ্যমন্ত্রী, পরে ৫ বছর বিরোধী দলনেতা এবং এই পদও খোয়ানোর পর বিজেপি’র