ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ভারত সরকারের ভূ- বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়, ভারত মৌসম বিজ্ঞান বিভাগ মৌসম বিজ্ঞান কেন্দ্র আগরতলা -এর পক্ষ থেকে জারি করা আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। বেশ কিছু অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা, সিপাহী জেলা জেলা এবং পশ্চিম জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে শুক্রবার দিনভর অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উড়িষ্যায় ১৪ টি জেলার মধ্যে তিন হাজার গ্রাম চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আগে বিপদজনক এলাকায় থাকা প্রায় ১১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উড়িষ্যা সরকারের পক্ষ থেকে ৯ জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নয়টি জেলার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে। উড়িষ্যার ভিতরকণিকা এলাকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অভয়ারণ্য।
অতি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় দানা সেখানে আছড়ে পড়লে বৃদ্ধি পাবে জলস্তর। আর জলস্তর বৃদ্ধি পেলে সেই ম্যানগ্রোভ অভয়ারণ্য থেকে কুমির সহ জলজ প্রাণী জনবসতি এলাকায় প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর জন্য দুটি দল গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রধান কাজ হল কুমির গুলিকে উদ্ধার করা। আর বাকি পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছে জনবসতি এলাকা থেকে সাপ উদ্ধার করার জন্য। সব মিলিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ওড়িশা প্রশাসন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে অতি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবেলায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার পুরো রাতটাই তিনি নবান্নে কাটাবেন গোটা পরিস্থিতিতে নজর রাখার জন্য। অতিবিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ধামরা বন্দর লাগোয়া পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে হাই অলার্ট। যে সমস্ত উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলোতেও।