ধর্মনগর প্রতিনিধি: রেমালের দাপটে সোমবার থেকে যে বর্ষণ শুরু হয়েছে তাতে প্লাবিত উত্তর জেলা সদর ধর্মনগর। একের পর এক নদী ফুসে তার স্বমহিমায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তর জেলা শাসক, মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন চলছে। নামানো হয়েছে নৌকা এবং বিভিন্ন বেসরকারি রেসকিউ টিম। শুরু করা হয়েছে কয়েকটি ক্যাম্প।
মানুষ দলে দলে নিজেকে বাঁচাতে ক্যাম্পের আশ্রয় নিচ্ছে । মঙ্গলবার সকাল থেকে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট জেল রোড, আলগাপুর, শিববাড়ি ছড়ার পার, সাকাইবাড়ি, সিগন্যাল বস্তি কামেশ্বর প্রভৃতি এলাকা পরিদর্শন করছেন। নামানো হয়েছে নৌকা দিয়ে রেসকিউ টিম। জেল রোডে যে জল যাওয়ার রাস্তাটি ছিল সেই রাস্তাটি ঠিকমত কাজ না করায় অধিকাংশের বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। আলগাপুর রোডে এবং শিববাড়ি ছড়ার পার অতিরিক্ত বর্ষণে প্লাবিত হয়ে পড়েছে এলাকা। শিববাড়ি রামঠাকুর আশ্রমে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে মানুষ দলে দলে নিজ ঘর পরিত্যাগ করে আসছে নিজেদের বাঁচাতে। সাকাইবারিতে কিছু সংখ্যক মানুষ প্লাবনে আটকে পড়েছে। রেল লাইনের পাশে সিগনাল বস্তির অবস্থা খুবই খারাপ।
এখানে নৌকা দিয়ে রেসকিউ টিম লাগিয়ে মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। রাজ বাড়িতে মহকুমা শাসকের নির্দেশে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প সম্পূর্ণরূপে তৈরি মানুষকে বাঁচাতে। সরকার থেকে ন্যূনতম খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ঝড়ের কারণে ধর্মনগর বাগবাসা রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে ।এদিকে আবহাওয়া দপ্তর আরো ২৪ ঘন্টা অত্যাধিক বর্ষণ হবে বলে আগাম বার্তা দিয়েছে। তাই বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীরা ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদেরকে তৈরি করে রেখেছেন মানুষকে উদ্ধার করার জন্য এবং মানুষের ন্যূনতম চাহিদা কেমন করে পূরণ করা যায় তা দেখার জন্য। জুরি নদী রাগনা এলাকায় প্লাবিত হয়ে এলাকা জলের তলায় নিয়ে গেছে এবং বহু মানুষের বাড়িঘর জলপূর্ণ হয়ে রাস্তাঘাট সহ আটকে গেছে।কাকরি নদীর জল তার বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। সময় মত এলাকাবাসীদের অর্থাৎ কামেশ্বর টঙ্গীবাড়ি গঙ্গানগর এলাকার মানুষদের সরিয়ে বিভিন্ন জায়গা ক্যাম্পের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। এন ডি আর এফ কেও তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।