সঙ্গে পুরুষ লোক নেই বলে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা আশ্বাস দিয়ে মৃতের পরিবারের কাছ থেকে ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিলেন জিবি হাসপাতালের কলঙ্কিত ডোম বলে অভিযোগ। তার নাম বিজয় কর্মকার। তার বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ রয়েছে আংটি চুরির। এবারের ঘটনা আরো একবার প্রশ্ন তুলেছে জিবি হাসপাতালে মর্গের পরিস্থিতি নিয়ে।
জানা যায় কৈলাশহর এলাকার বাসিন্দা রুবেল আহমেদ তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বিষ পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তারপর কৈলাশহর হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় তাকে আনা হয় জিবি হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রুবেল আহমেদ। তখন মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর কাছে এক হাজার টাকা দাবি করে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডোম। ময়না তদন্তের বিষয়গুলি সহায়তা করবে বলে জানান।
কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ার কারণে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ডোম বিজয় কর্মকারকে ৫০০ টাকা দেন। তারপর থেকেই উধাও হয়ে যান বিজয় কর্মকার। তার ফোন নম্বরে ফোন করলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকি পাঁচশো টাকা হাতিয়ে নিয়ে সে কোন ধরনের সহযোগিতাও করে নেই।
রাজ্যের অন্যান্য মহকুমা থেকে আসা মৃতের পরিবারদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সে এ ধরনের বাঁকা পথে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ মানসিকভাবে ততটা প্রস্তুত থাকবে না সেই সময় প্রতিবাদ করার জন্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সে এভাবে মোটা কামাইয়ে ব্যস্ত আছে।
বিজয় কর্মকারের বিরুদ্ধে আরো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েক মাস আগে মৃত এক মহিলার হাত থেকে আংটি খুলে নিয়ে যায়। অবশেষে সংবাদ মাধ্যমে খবরটি প্রচার হওয়ার পরেই বিজয়ী কর্মকার মৃত মহিলার আংটি ফেরত দিয়ে কোনরকম ভাবে পার পেয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে হাসপাতালের মর্গের অন্যান্য কর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়।
উল্লেখ্য, রুবেল আহমেদ বিষ খাওয়ার পেছনে মূলত কারণ হলো গত দেড় মাস আগে সে বিয়ে করেছিল। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। ফলে দুজনেই আলাদা থাকতো। যার কারনে তাকে শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে বলে জানা যায় তার স্ত্রী তার থেকে।