গত দশ বছর যারা দেশকে লুট করেছে এবং ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করবে দেশপ্রেমীরা। বুধবার পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী তথা ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী আশীষ কুমার সাহার মনোনয়ন পত্র দাখিল করার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজেদের দেশপ্রেমী বলে জাহির করে এ কথা বললেন রাজ্যের ইন্ডিয়া জোটের নেতা তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।
এদিন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী তথা ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা। রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে যান। মিছিলের সামনের সারিতেই ছিলেন মনোনীত প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের আহ্বায়ক সুপ্রিয়া সিনেট, রাজ্যের ইন্ডিয়া জোটের নেতা তথা বিরোধী দল নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, সুদীপ রায় বর্মন, গোপাল রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। পশ্চিম জেলার জেলা শাসক তথা রিটার্নিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমারের হাতে মনোনয়ন পত্রটি তুলে দেন আশীষ কুমার সাহা।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থী আশিস কুমার সাহার সাথে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ইন্ডিয়া জোটের আটটি দলের নেতৃত্ব। মনোনীত প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা মনোনয়নপত্র দাখিল করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ আজ অধিকার হারিয়ে বসে আছে। তাই গণতন্ত্র বাঁচাতে সারা দেশের সাথে ত্রিপুরার মানুষ সামিল হবে। ভয়-ভীতি সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে এ রাজ্যে বিজেপি দল ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে। সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ করতে চাইছে। আসন্ন নির্বাচনে এর প্রতিফলন ঘটবে। এদিন আশীষ কুমার সাহা কানাইয়া কুমার না আসার কারণ প্রসঙ্গে বলেন, একটা ষড়যন্ত্র হয়েছে। কানাইয়া কুমারের ত্রিপুরা সফর বাতিল করা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সঠিকভাবে অনুমতি চেয়ে এই কর্মসূচি সম্পন্ন করতে চাওয়া হয়েছিল তারা অনুমতি দেয়নি। এ বিষয়ে যখন দিল্লিতে জানানো হয়েছে, তখন দিল্লি থেকে কানাইয়া কুমারকে ত্রিপুরায় আসতে বারণ করা হয়েছে।
এদিকে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন পাঁচ বছর অন্তর এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। নতুন করে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে শুধু নতুন সরকার তৈরি করাতে সীমাবদ্ধ নেই দেশবাসী। কারণ একদিকে যেমন দেশভক্ত ইন্ডিয়া জোট, অপরদিকে হলো যারা দেশকে লুট করছে তারা। স্বাধীনতার পর যে সম্পদ দেশে তৈরি হয়েছে তা শেষ করে দিচ্ছে এবং আরো সম্পদ শেষ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। তাই এই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই দেশপ্রেমীদের বলে জানান তিনি। আরো বলেন গত ছয় বছর ধরে ত্রিপুরা রাজ্যে অপশাসন চলছে, শুধু তাই নয়। গত ১০ বছরে দেশকে বিজেপি ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। মিছিলে ইন্ডিয়া জোটের কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। তবে স্পষ্ট হয়েছে সিপিআইএমকে পাশে পেয়ে কংগ্রেস রীতিমতো অক্সিজেন পেয়েছে। যার কারণে শহরে কয়েক হাজার কর্মী জোগাতে সফল হয়েছে। মিছিলটি রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।