পুলিশ গুলি কান্ডের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তিন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালালো দুজনের বাড়িতে

চাঞ্চল্যকর গুলি কাণ্ডের ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ ধৃত প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী এবং সুকান্ত গুপ্ত নামে দুজনের বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি চালায় মঙ্গলবার। জানা যায়, রীতিমতো আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে এইদিন পুলিশ ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরীর বাড়ি ও সুকান্ত গুপ্তর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তিন জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে চালানো হয় তল্লাশি অভিযান।

 উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও এনসিসি, এয়ারপোর্ট থানার ওসি সহ অন্যান্যরা। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এইদিন পুলিশ বেশকিছু তথ্য সংগ্রহ করে। দীর্ঘ সময় ধরে উভয় বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এইদিনের তল্লাশি অভিযান সম্পর্কে পুলিশ মুখ খুলতে নারাজ। তবে তদন্ত প্রক্রিয়া যতই এগুচ্ছে ততই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে নিগোসিয়েশন বাণিজ্য নিয়েই এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পুলিশ সূত্রের জানা যায়, ধৃত প্রদ্যুৎ -কে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তদন্তকারী পুলিশের বেশ একাধিক বিষয়ে সন্দেহ হয়েছে। তারপরই এদিন দুজনের বাড়িতে পুলিশ দুপুর থেকে তল্লাশি চালায়। পুলিশ সূত্রের খবর, দুজনে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তেমন কিছু পায়নি। পুলিশ খতিয়ে দেখেছে বাড়ির মোবাইল ফোন, ব্যাংক একাউন্ট, প্যান কার্ড সহ বিভিন্ন নথিপত্র। সবকিছুই স্বাভাবিক পেয়েছে পুলিশ।

খবর লেখা পর্যন্ত পুলিশ সুকান্ত গুপ্তকে গ্রেফতার করে নি বলে খবর। উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল বাড়ি থেকে ডেকে এনে ভারতরত্ন সংঘ ক্লাবের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেবকে শালবাগান হাতিপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমেছে। তদন্ত নেমে তিনজনকে ইতিমধ্যে জালে তুলেছে। কিন্তু মৃত দুর্গার অভিযোগ মত রাজু, বিমান, অমিত কাউকে এখন পর্যন্ত পুলিশ জালে তুলে নি।

পুলিশের এখনো সন্দেহ রাজু বিমান দের মধ্যে কেউ, নাকি বহির্রাজ্য থেকে আনা কোন খুনি এই ঘটনার জড়িত? পুলিশ এ বিষয় নিয়ে এখনো পুরোপুরিভাবে ধোঁয়াশায় রয়েছে। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশ মূল অভিযুক্ত রাজু, বিমান এবং অমিতকে গ্রেফতার করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মূল অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না সাধারণ মানুষের কাছে। যতদূর খবর এই তিন অভিযুক্ত ইতিমধ্যে কোন এক মহলকে কাজে লাগিয়ে নিরাপদ ডেরায় স্থান নিয়েছে। এবং তাদের গ্রেপ্তার করতে ইতিমধ্যে কলকাতায় অবস্থান করছে পুলিশের একটি বিশেষ টিম।