ভারতীয় জনতা পার্টির ১১ জন কার্যকর্তাকে খুন করে ২০১৮ নির্বাচনের পর থেকে যারা আগরতলা শহরে আশ্রয় নিয়ে আছে তাদের পুলিশি সহযোগিতা নিয়ে চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজেপির সদর জেলা কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী একহাত নিলেন শাসকদলের নেতৃত্বের। তিনি বলেন, লোক সভাতে সিপিআইএমের মাত্র চারজন সদস্য।
অর্থাৎ পার্লামেন্টে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে সিপিআইএমের কোন শক্তিই না। এটা একটা অঙ্ক স্বাভাবিক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, রাজ্যসভার সাংসদ রাজিব ভট্টাচার্য, লোকসভার পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব এবং ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের কথা শুনলে মনে হয় তাদের মাথাব্যথা একমাত্র কমিউনিস্টরা। এর জন্য তাদের সরকারের কাজকর্ম করতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হচ্ছে। আসল কারণ কমিউনিস্টরা নয়। ভারতের জনতা পার্টির এই নেতৃত্বরা মানুষকে মিথ্যা কথা বলে প্রলোভন দেখিয়েও কাছে টানতে পারছে না। তাদের শহরের মধ্যে সভা করতে গিয়ে রেগার কাজ পাইয়ে দেওয়া হবে এবং টি এল এম এর কিস্তি সহজ ভাবে পাইয়ে দেবে বলতে হচ্ছে। পরে সভাতে এনে তাদের অক্সিজেন দেওয়ার জন্য বলছে বিজেপির কার্যকর্তাদের খুন করে আগরতলা এসে আশ্রয় নেওয়া যে ছাড়া হবে না। কিন্তু এ কথা রাজ্যের .০০১ শতাংশ মানুষও বিশ্বাস করবে না।
তবে প্রদেশ সভাপতি কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে চুনোপুঁটিদের বের করার জন্য যে আস্থা প্রকাশ করেছেন তা অত্যন্ত ভালো একটি দিক। পুলিশ যদি চায় সিপিআইএমের কার্যালয়ে আসতে পারে। এবং তল্লাশি ও চালাতে পারে। কেন অপরাধীরা আত্মগোপন করে থাকবে? যদি কোন অপরাধীকে পায় তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ধারা অনুযায়ী মামলা নিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করুক। এর জন্য কোন আপত্তি থাকবে না সিপিআইএমের। এর সাথে শাসক দলের বৃত্তের মধ্যে যারা আলো করে আছে তাদের দিকেও পুলিশ নজর দিক। কারণ যারা বর্তমানে নেশা পাচারকারী, নারী পাচারকারী সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে জড়িত রয়েছে তারা শাসক দলের নেতৃত্বের কাছের লোক। তাদের দ্বারা বিজেপি নেতৃত্ব কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কিন্তু আজকে যারা অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত হয়ে শাসক দলের ছত্রছায়ায় রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে তারা আগামী দিন রক্ষা পাবে না। এগুলি ভালো করেই বুঝতে পারছেন রাজিব বাবুরা বলে জানান বিরোধী দলনেতা। তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনকে ইঙ্গিত করে বলেন, উত্তর ত্রিপুরা জেলার এক নেতা বলছেন ধর্মনগরে নাকি কোন লাল পতাকা উড়তে পারবে না। পরে আবার তিনি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু জনগণ ক্ষমা করবে না। তাদের ঘরেও পুলিশ যাবে, রাজ্যের পুলিশ না হলেও যারা রাষ্ট্রের প্রতি উদ্ভূত এবং দেশপ্রেম রয়েছে সেই পুলিশ তাদের বাড়িতে যাবে। তাই দলের লোকদের অক্সিজেন দেওয়ার জন্য যা খুশি তাই বলছেন রাজিব বাবুরা। তাদের মধ্যে ভয় এবং আতঙ্ক কাজ করছে বলে জানান তিনি।