নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপাল সিং, ত্রিপুরা, ১লা ডিসেম্বর, সোমবার
খোয়াই শহরে গাঁজার অবাধ পাচার চললেও, মাত্র ১ কেজি গাঁজা উদ্ধারকেই বড়সড় সাফল্য হিসেবে প্রচার করায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ—শহরে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে গাঁজা লেনদেন হলেও, সেগুলো আটকাতে ব্যর্থ পুলিশ এখন এক গরিব চাষির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ‘ক্রেডিট’ নেওয়ার চেষ্টা করছে। গাঁজা চাষীর বাড়ি-ঘর দেখেই স্পষ্ট তার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন!
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোয়াই সুভাষপার্ক ফাঁড়ির ওসি রঞ্জিত সরকার ও এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল সোমবার বারবিল এলাকার হীরালাল রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানে একটি বস্তায় সংরক্ষিত প্রায় ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। একই সঙ্গে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে—লিটন দেববর্মা ও সিমন রূপিণী।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুই ব্যক্তি হয় গাঁজা ক্রয় করতে এসেছিল, নয়তো তারাও গাঁজা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোয়াই থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয়দের দাবি, খোয়াই শহরের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে প্রতিদিন ‘বিপুল পরিমাণে গাঁজা’ লেনদেন হলেও সেখানে কোনও বড়সড় অভিযান হয় না। বরং সহজ লক্ষ্য হিসেবে ছোট চাষিদের টার্গেট করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।


